বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

‘তারি সঙ্গে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান/ বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান’ অথবা ‘আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা, বাতাস জুড়ে বৃষ্টি/ গাছের পাতা কাঁপছে আহা, দেখতে কি যে মিষ্টি’—শুধু বৃষ্টির কবিতাই নয়, শিশুদের কণ্ঠে এমন শিশুতোষ আরও নানা কবিতার উচ্চারণে মুখর হয়ে উঠেছিল থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তন (টিআইসি)। সংগীত ও আবৃত্তি চর্চাকেন্দ্র তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের আয়োজনে ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে হয়ে গেল ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ শীর্ষক ছোটদের ব্যতিক্রমী এ আবৃত্তি অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী চট্টগ্রামের প্রশিক্ষক আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী।স্বাগত বক্তব্য দেন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম। রাশেদ হাসান বলেন, ‘সংস্কৃতিচর্চা শিশুদের বোধকে জাগ্রত করবে আর আবৃত্তিচর্চায় শিশুদের অংশগ্রহণ আমাদের উন্নয়নমুখী বাগিশল্পকে আরও শাণিত করবে।’ আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে আবৃত্তিচর্চায় শিশুদের আরও বেশি বেশি সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।একে একে শিশুরা আবৃত্তি করে লুৎফুর রহমানের ‘শহীদ মিনার জানে’, সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’, ‘দেশলাই কাঠি’, মাকিদ হায়দারের ‘সুবর্ণ গ্রামে যাব’, সুকুমার রায়ের ‘ভয় পেয়ো না’, ‘খাই খাই’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘বর্ষাবিদায়’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিজ্ঞ’, ‘বিচিত্র সাধ’, নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা এ শব্দটি কি করে আমাদের হল’, সৈয়দ আলী আহসানের ‘মেঘ’, শামসুর রাহমানের ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’সহ প্রায় ২৫টি কবিতা। সঞ্চালনায় ছিলেন মিঠু তলাপাত্র।