দস্যু পিরর গল্প

ক্যাপ্টেনের বেশে যারিনা, এমন জলদস্যু–পরি দেখেছো কখনো?
ক্যাপ্টেনের বেশে যারিনা, এমন জলদস্যু–পরি দেখেছো কখনো?

পরি আবার দস্যু হয় নাকি? পিররা উড়ে বেড়ায়, গান গায়, ফুল-পাখিদের সঙ্গে বন্ধুত্বও করে, কিন্তু তাই বলে দস্যু বনে যাওয়া! অবাক হওয়ার কিছু নেই। বলছিলাম ডিজনির নতুন অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র পাইরেট ফেইরির দস্যু পিরর কথা। বিশ্বাস না হয় তো নিজেরাই দেখে নিয়ো।
পিররাজ্যের পরিদের মধ্যে যারিনা একটু অন্য রকম। বালুকণার মতো ছোট্ট, কিন্তু সোনার মতো চকচকে ‘পিক্সি ডাস্ট’ নিয়ে ওর আগ্রহের শেষ নেই। এই সোনালি কণাগুলোর জাদুতে অনেক কিছু করা যায়। যারিনা জানতে পারে, নীল রঙের কিছু কণা রয়েছে, যা থেকে তৈরি হয় সোনািল এ কণাগুলো।
বেশ পরিশ্রম করে ও নিজেই একসময় কিছু জাদুর কণা তৈরি করে ফেলে। শুধু সোনালিই নয়, বিভিন্ন রঙের জাদুর কণা তৈরি করে ও, আর নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকে। তবে হঠাৎই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। এ জন্য শাস্তিও হয় ওর, পিররাজ্য থেকে বের করে দেওয়া হয় যারিনাকে। মন খারাপ করে চলে যায় সে।
এক বছর পর পিরদের অনেক বড় এক উৎসবে এসে সেখানকার সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে দেয় যারিনা। জাদুর কণার মূল উৎস সেই নীল কণাগুলো চুরি করে নেয় ও। তবে যারিনার জাদুতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও টিংকার বেল এবং আরও কয়েকটি পির সে জাদুর প্রভাব থেকে বেঁচে যায়। ওরা পিছু নেয় যারিনার।
অন্য পরিরা অবাক হয়ে দেখে, যারিনা গিয়েছে জলদস্যুদের কাছে। শুধু তা-ই নয়, সে ওই দস্যু দলের প্রধান! দস্যুরা যারিনাকে ডাকে ‘ক্যাপ্টেন’ বলে৷ পরিরা পড়ে যায় মহা দুশ্চিন্তায়৷ ভাবে, ‘সর্বনাশ, যারিনা তাহলে দুষ্টু জলদস্যুদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে!’ ওর কাছ থেকে জাদুর কণা ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পরিদের ছোট দলটা। তবু, জাদুর কণা ফিরিয়ে আনতে ওরা দস্যুদের আস্তানা পর্যন্ত পেঁৗছে যায়। সেখানে যারিনা অনেক ‘পিক্সি ডাস্ট’ তৈরি করতে থাকে, আর দস্যুদের শেখায়, কীভাবে এই জাদুর কণার সাহায্যে ওড়া যায়।
শেষ পর্যন্ত যারিনা বুঝতে পারে নিজের ভুল। কিন্তু ততক্ষণে দস্যুরা জাদুর কণা নিয়ে চলে গেছে। যারিনা, টিংকার বেল আর অন্য পরিরা এবার একসঙ্গে দস্যুজাহাজের পিছু নেয়। ছোট্ট এই পরিরা কি পারবে ওই দস্যুদের হাত থেকে তাদের জাদুর কণাগুলোকে বাঁচাতে? আর ঘুমিয়ে পড়া পরিরাজ্যেরই বা কী হবে? জানতে হলে দেখতে হবে পাইরেট ফেইরি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। যারিনাকে ক্যাপ্টেনের বেশে দেখতে গিয়ে একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবে, ওর পোশাকটা একজন ক্যাপ্টেনের জামার আস্তিন থেকে তৈরি। চলচ্চিত্রটি যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁরা কিন্তু নতুন নতুন আইডিয়া আর ডিজাইন বের করে সবচেয়ে ভালো আইডিয়াগুলোকে বেছে নিতেন শুধু তোমাদের জন্যই।
রাফিয়া আলম