আরও যত অনুষ্ঠান

এসবের বাইরেও ছিল আরও কত আয়োজন। কখনো ধারাবাহিক, কখনো সাময়িক, কখনো একক। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পুনরাভিনয় নিয়ে ‘দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট’ নামে ছিল দুর্দান্ত এক আয়োজন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এয়ারটেল-প্রথম আলোর উদ্যোগে আলপনা আঁকা হয় রাত জেগে, নববর্ষের আগের রাতে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সব সময়ই প্রথম আলোর প্রাণকেন্দ্রে। দুই মলাটের ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি নিয়ে বেরিয়েছে একাত্তরের চিঠি। একাত্তরে খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা সংকলিত হয়েছে একাত্তরের বীরযোদ্ধা বইটিতে। এ বইগুলোর প্রকাশনা অনুষ্ঠান ছিল চোখ সজল করা, মনে প্রত্যয় জাগানো। একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ম্যাডিসন স্কয়ারে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর অন্যতম অংশগ্রহণকারী ওস্তাদ আল্লা রাখা খানকে দেওয়া সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসে তবলার মূর্ছনা ছড়িয়ে গেছেন তাঁরই ছেলে ওস্তাদ জাকির হোসেন। একাত্তরের সেই কনসার্টের স্মরণে প্রকাশিত হয়েছে কফিটেবিল বই টু ফ্রেন্ডস, ওয়ান কজ: রিমেমবারিং দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। প্রথম আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানগুলোও ছিল বিচিত্র আয়োজনে রঙিন। এর মধ্যে ছিল দৃশ্যশিল্পের আয়োজন ‘কাগজের ছায়া’, ‘সময়চিত্র’, ‘খবরখাদ্য’। লাক্স-নকশা মিলনমেলার আয়োজন হয় ‘নকশা’র ফ্যাশন-প্রসাধন-রান্না-পরামর্শের প্রখ্যাতদের নিয়ে। তরুণেরা যুক্তি শাণিয়েছেন নানা বিতর্ক প্রতিযোগিতায়। দেশের দক্ষ রাঁধুনীরা একসময় উঠে এসেছেন প্রাণ-প্রথম আলো আচার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।
পিছিয়ে ছিল না আঞ্চলিক অফিসগুলোও। চট্টগ্রামে ঈদ ফ্যাশন ছিল তেমনই এক মনকাড়া আয়োজন।