ভালোবাসা এখানেই

.
.

লাল টিপটা ঠিকভাবে বসেছে কি না কপালের মাঝে, বারবার আয়নায় দেখছি। কীভাবে কীভাবে চোখের পলকে বিয়েটা হয়ে গেল! কাল রাতের কথা মনে পড়ে বারবার হাসি পাচ্ছে।
মাথায় ঘোমটা দিয়ে আর কতক্ষণ বসে থাকা যায়। তাই উঠে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ দরজা খুলে আমার বর ঘরে ঢুকল। রুমের ভেতর কেমন যেন একটা নীরবতা। সে বারবার রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছে নিচ্ছে।
—ফ্যান কি আরেকটু বাড়িয়ে দেব?
—না, না...ঠিক আছি!
—প্রচুর ঘাম হচ্ছে...
—অহ, কই! আচ্ছা...হুম!
আসলে আমি আপনি-তুমির মাঝে আটকে গেছি। মনে হলো কয়েক যুগ পর সে বলল : আচ্ছা একটা কথা বলব, রাগ করবেন না তো?
—উঁহু...
আমার বুক কেঁপে উঠল। কী বলবে? বাবা-মার ইচ্ছায় বিয়ে করেছে! আমাকে পছন্দ না!
—মানে আসলে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে হলো, এত কাজ আর টেনশনে ছিলাম, ঘুম হয়নি ঠিকভাবে...
আমি মনে মনে প্রমাদ গুনছি। পরের বাক্যটা নিশ্চয়ই খুব খারাপ কিছু।
—প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে। আমি ঘুমালে কি আপনি রাগ করবেন?
বলে কি লোকটা? আমি হেসে ফেললাম। এত সুন্দর করে একটা মানুষ ঘুমাবে কি না জিজ্ঞেস করে!
বাচ্চাদের মতো গুটিসুটি হয়ে সে ঘুমুচ্ছে। আচ্ছা ওর চুলে হাত বোলালে কি রাগ করবে? রুমের ভেতর চাঁদের আলো এসে পড়েছে। আমাদের রুমটা পছন্দ হয়েছে আমার। আচ্ছা কি অদ্ভুত! এই রুমটা কখন ‘ওর’ থেকে ‘আমাদের’ হয়ে গেল।
সানজিদা আক্তার