অপরাধীরা সরকারের প্রশ্রয়ে আরও উৎসাহী হচ্ছে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

অপরাধীরা সরকারের প্রশ্রয় পাওয়ায় অপকর্ম করতে আরও বেশি উৎসাহী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা কোনো সভ্য সমাজের নয়। সম্পূর্ণভাবে অসভ্য সমাজে পরিণত হয়েছে। যে সমাজে কোনো নৈতিকতা নেই, আইনের শাসন নেই, কোনো বিচার নেই।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী অব্যাহত নারী ও শিশুর ওপর ঘৃণ্য সহিংসতার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

কেন আজকে শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে, কেন মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে? এর একটাই কারণ, এ সরকার জনগণের সরকার নয়। তাই তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দুর্বৃত্তদের আশ্রয় নিতে হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির মহাসচিব

ফখরুল তিনি আরও বলেন, একজন নারী, একজন শিশুর বেঁচে থাকার ন্যূনতম যে অধিকার আছে, তা থেকেও তারা বঞ্চিত।

এক যুগ ধরে মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সমাজের যে ভয়াবহতা তাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। দল, মত, বর্ণ, গোত্রনির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে সরাতে হবে এবং তাদের বলতে হবে যে এখন সরে পড়াই ভালো হবে।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সার্কুলার দিয়ে শিক্ষার্থীদের বলা হচ্ছে, তারা এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারবে না, যেটা সরকারের বিরুদ্ধে যাবে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় একেবারেই কিশোর অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হচ্ছে। সার্কুলার জারি করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ধ্বংস করা হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী
ফাইল ছবি


মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফেনীর নুসরাত জাহানের কান্না, নারায়ণগঞ্জের ত্বকির কান্না, সিরাজগঞ্জের রুপার কান্না, সর্বশেষ এমসি কলেজের দম্পতি সেই গৃহবধূর কান্না, তার চেয়েও মর্মান্তিক ও ভয়ংকর বেগমগঞ্জের সেই নারীর কান্না। এ বীভৎসতা বর্ণনা করার উপযুক্ত কোনো ভাষা নেই।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা এ দুষ্কর্ম ও অনাচার করছে, তাদের পৃষ্ঠপোষক এই সরকার। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব না হলে সমাজের মধ্যে এই সম্ভ্রমহানি, নারী–শিশুদের ওপর নির্যাতনকারীদের এত বাড়বাড়ন্ত কেন হবে?

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, করোনা মহামারির চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ধর্ষণ। তাই করোনার আগেই ধর্ষণের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করুন। আর ধর্ষণের ভ্যাকসিন হবে এ সরকারের পদত্যাগ। তারা পদত্যাগ করলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তখনই দেশের জনগণ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন মহিলা দলের নেত্রী শাম্মী আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন ও আরিফা সুলতানা প্রমুখ।