আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্রদল নেতাদের দেখতে যান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সন্ত্রাস করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে, গোটা দেশের মানুষকে একটা আতঙ্কের মধ্যে রেখে ক্ষমতাসীন দল আবার একটা নির্বাচন পার করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এবার তা হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বাসাবো এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্রদল নেতাদের দেখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

২৪ ও ২৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের এই নেতারা আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের ভয়াবহ হামলার ঘটনার ছবি তাঁরা টেলিভিশনে দেখেছেন। পত্রপত্রিকায় দেখেছেন। হামলায় ছাত্রদলের ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এ ঘটনা গোটা জাতিকে মর্মাহত করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ হামলার ঘটনায় আবার প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের মধ্য দিয়েই ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগকে সরে যেতে হবে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ একমত। মানুষ কোনো রকম সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না।

চালের বাজারের অস্থির নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বহুবার বলেছি, এই সরকারের সমস্যা হচ্ছে তারা সবকিছুর মধ্যেই একটা অবৈধ মুনাফা চায়। জনগণের ন্যূনতম প্রয়োজন যে খাদ্য, সেই খাদ্যকেও জিম্মি করে তারা মুনাফা লুটতে চায়। এটা যে আজকের ব্যাপার, তা নয়।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকে খাদ্যশস্য, যা মানুষের সবচেয়ে বেশি দরকার, সেটাকে অন্যায়ভাবে, কারসাজি করে বাজারে একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। এভাবে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা প্রমুখ।