আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না: খন্দকার মোশাররফ

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য দেন
ছবি: প্রথম আলো

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না এবং তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, ‘যখন আমরা গঠনমূলক সমালোচনা করি, মামলা দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াকে তিন বছর কারাগারে আটক রেখে অসুস্থ করে ফেলা হয়েছে। কারণ, তিনি গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছেন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র পছন্দ করে না।’

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। ‘ভোটের অধিকার দিন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম।

দেশে ভোটের অধিকার নেই অভিযোগ করে মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘ভোটের অধিকার এখন ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। কিন্তু আমরা দুঃখিত, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনকালে আমাদের “ভোটের অধিকার চাই” বলতে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কি এই আকাঙ্ক্ষা ছিল? সামাজিক সম্প্রীতি, সমৃদ্ধির বাংলাদেশ তাঁদের আকাঙ্ক্ষা ছিল। দেশে যে ভোটের অধিকার নেই, এটা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। গত তিন নির্বাচনে মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি।’

ভোটের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইভিএমে নয়। নিজ হাতে ভোট দিয়ে, নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায় জনগণ।’

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৫৩ দিনের হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা তুলে দিয়েছে।

বিদ্যুতের দাম প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, বেসরকারি খাতে ভর্তুকি দেওয়া শুরু করেছে। এটি জাতীয় অপরাধ। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোর ক্ষমতা তাদের নেই। কারণ, এই সিন্ডিকেটের অংশ আওয়ামী লীগের লোকেরা।’

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ‘অপরাধের তালিকা’ পড়ে শুনিয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অতীতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কৃষক লীগের এক কর্মসূচিতে বলেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের অপরাধ দেখতে পান না। তাঁকে আমরা আওয়ামী লীগের অপরাধের তালিকা বলতে পারি। তাদের প্রথম অপরাধ, তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। গণতন্ত্র হত্যা করার কারণে দেশে বিরোধী দল নেই।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির প্রমুখ।