আলাল ক্ষমা চাইলেন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
ছবি: আসাদুজ্জামান

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অশালীন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারও করেছেন। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আলাল এ কথা জানান। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান গণমাধ্যমে আলালের বক্তব্যটি পাঠান।

শায়রুল কবীর খান জানান, কিডনির জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে এখন ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলাল।

সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হন মুরাদ হাসান। তিনি পরে এক নায়িকার সঙ্গে অশালীন কথা বলেন। এতে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। মুরাদের বক্তব্য কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান–উতোরের মধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। এ নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুরাদ যা বলেছেন, তার চেয়ে ঘৃণ্য ও জঘন্য ভাষায় কথা বলেছেন আলাল। তবু বিএনপি তাঁকে সমর্থন করেছে। এটাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের (বিএনপির) পার্থক্য।’

এ অবস্থায় আজ আলালের বক্তব্যটি এল। আলাল নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বলেন, ‘আমি প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবনসংকটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। আমার শরীরে একটি গুরুতর সার্জারি হয়েছে। সংগত কারণেই সকল দুঃসংবাদ থেকে পরিবার আমাকে দূরে রেখেছে। তারপরও বিলম্বে আমি জেনেছি, অতীতে আমার একটি বক্তব্য বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।’

আলাল বলেন, ‘দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারও সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি। তবুও মানুষ হিসেবে আমি তো ভুলের ঊর্ধ্বে নই।’

বিএনপি নেতা আলাল বলেন, ‘কোনো অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যাঁরা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অনুভূতিতে, তাঁদের সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একই সঙ্গে ওই বক্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি।’