আ.লীগে প্রার্থী বাছাই
আড়ালের ‘সত্য’ বলে দিচ্ছেন দলের নেতারা
প্রার্থীদের কেউ দুর্নীতিবাজ, কেউবা চাঁদাবাজ, কেউ করেন মাদক ব্যবসা বা কেউ মাদকসেবী—এমন অভিযোগ তৃণমূলের নেতাদের।
ভূমি দখলকারী, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, খুনের মামলার আসামিদেরও মনোনয়ন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। ফলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মানেই বিজয় অনেকটা নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে স্বস্তিতে থাকার কথা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। কিন্তু তাঁদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছেন সম্ভাব্য ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা। অন্যদিকে মনোনয়ন নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে যেভাবে ক্ষোভ দানা বাঁধছে, তাতে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদেরও উদ্বেগ বেড়েছে।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট হবে। এর মধ্যে ৯০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ জমা পড়েছে। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতারা যেসব অভিযোগ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, মাদকসেবী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, ভূমি দখলকারী, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, খুনের মামলার আসামি, রাজাকারের সন্তান, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী বাহিনী লালনকারী, এমনকি সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎকারীরাও অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। এর বাইরে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের কেউ কেউ বিএনপি বা জামায়াতের নেতা ছিলেন। প্রবাসী এবং জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
৯০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ।
দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বাছাই শুরু হয় ৭ অক্টোবর। সব বিভাগে প্রার্থী মনোনয়ন শেষ হয় ১২ অক্টোবর। প্রার্থী ঘোষণার পরপরই অভিযোগ আসতে থাকে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ৭০ জন প্রার্থীর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান এবং দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে খুদে বার্তায় (এসএমএস) কিংবা অন্য উপায়ে আরও ২০ জন প্রার্থীর বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। এ ছাড়া সংক্ষুব্ধ কয়েক শ নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকেরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিষয়ে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেছেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন ৪ হাজার ৪৫৮ জন প্রার্থী। অর্থাৎ প্রতি ইউনিয়নের জন্য গড়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন পাঁচজন। প্রতিটি ফরমের দাম রাখা হয় পাঁচ হাজার টাকা।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, এর আগে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন কিংবা অরাজনৈতিক কাউকে এবার ইউপি ভোটে মনোনয়ন দেওয়া হবে না—এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। এ বিষয়ে তৃণমূলে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, কোথাও কোথাও নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেছেন স্থানীয় মন্ত্রী, সাংসদসহ উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতারা। আবার কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে যাঁদের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল, তা আমলে নেয়নি কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। প্রার্থীদের নিয়ে ওঠা অভিযোগের পেছনে আসলে কেন্দ্র ও তৃণমূল—দুই দিকেরই দুর্বলতা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা যেসব প্রার্থীকে সমাজের ‘ঘৃণিত মানুষ’ হিসেবে চিত্রিত করেছেন, তাঁদের ভোটাররা কীভাবে ভালো চোখে দেখবেন? বিএনপি ভোটে না থাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত কিংবা দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরাই জিতবেন—এটাই বাস্তবতা। কিন্তু ভোটারদের ওপর যাঁকে-তাঁকে চাপিয়ে দেওয়ার ফল ভালো হবে না। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, নির্বাচন নিয়ে মানুষের হতাশা বাড়বে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ৭০ জন প্রার্থীর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দপ্তরে এসেছে। প্রতিটি অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মনোনয়ন বোর্ড ১২টি ইউনিয়নের প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। অনেক ঢালাও অভিযোগও এসেছে, যার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা অভিযোগও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দলীয় সূত্র বলছে, মন্ত্রী ও সাংসদেরা যেসব জেলা-উপজেলার সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন, সেসব জায়গায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে তাঁদের ইচ্ছা গুরুত্ব পেয়েছে। আবার যেসব জেলায় মন্ত্রী-সাংসদেরা দলীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নেই, সেব এলাকায় স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব প্রকট। এমনও ঘটনা ঘটেছে, ইউনিয়ন থেকে সম্ভাব্য নামের তালিকা উপজেলায় গিয়ে পরিবর্তন হয়ে গেছে। উপজেলার তালিকা জেলা কমিটি পরিবর্তন, পরিবর্ধন করেছে। আবার কয়েকটি জেলা ও উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আলাদা আলাদা তালিকাও কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। এসব কারণে তৃণমূল থেকে পাঠানো নামের বাইরেও দলের নেতা-কর্মীদের কাছে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়েছে।
তৃণমূলের মতামত উপেক্ষিত
নাটোর সদর উপজেলায় বর্তমানে আওয়ামী লীগের দুটি কমিটি কাজ করছে। একটি কমিটি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাব হোসেনের বিষয়ে জেলা কমিটির কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘তিনি একজন মাদকসেবী, দুর্নীতিবাজ, সালিসের নামে অবৈধ টাকার লেনদেন করেন। তিনি ভূমিদস্যু, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে নিয়োগ-বাণিজ্য করেন।’ তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড গত ৭ অক্টোবর আলতাব হোসেনকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে।
আলতাব হোসেনের ‘অপকর্মের’ ফিরিস্তি তুলে ধরে কেন্দ্রে অভিযোগ জমা দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মনোনয়নপ্রত্যাশী আলী আজগর ভূঁইয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্র সবকিছু জেনেও কেন একজন খারাপ লোককে মনোনয়ন দিয়েছে, তা তাঁর বোধগম্য নয়।
তবে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে আলতাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কলেজে শিক্ষকতা করি। যেসব বাজে কথা লিখেছে, তা খুবই দুঃখজনক। মনোনয়নবঞ্চিত হলে কত কথাই বলে। ইউনিয়ন সভাপতি ছাড়া অন্যরা আমার সঙ্গে আছে।’
সমালোচনার মুখে প্রার্থিতা বাতিল
২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা সারা দেশে আলোচিত হয়। ওই ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত দুই আসামি হলেন দেওয়ান আতিকুর রহমান ও আবুল হাশেম। দুজনই ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
দেওয়ান আতিকুর রহমান হরিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা। আবুল হাশেম সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক।
গত বুধবার রাতে ওই দুজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
হত্যা মামলার আসামি যখন প্রার্থী
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিদুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মী ওমর ফারুক, আওয়ামী লীগ কর্মী শিমুল হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ জেলায় যে তালিকা পাঠায়, তাতে তাঁর এসব নেতিবাচক দিক উল্লেখ করে মনোনয়ন না দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (ঈদ উপহার) মানবিক সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীদের কাছ থেকে ‘বিবিধ ট্যাক্সের’ নামে ২৮০ টাকা করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে গত বছর জুলাই মাসে সাময়িক বরখাস্ত হন শিবগঞ্জের ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রুপম। এবারও তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে বর্তমান চেয়ারম্যানদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে মনোনয়ন না দেওয়ার সুপারিশ করে জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। পরে কীভাবে, কেন তাঁরা মনোনয়ন পেলেন, তা তিনি জানেন না।
বিএনপি থেকে এসে, প্রবাসে বসে নৌকা
মনিরুল ইসলাম ওরফে সেন্টু নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। তবে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের আলোচিত সাংসদ শামীম ওসমানের সঙ্গে তাঁর সখ্য। ২০১৬ সালে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপির পদধারী হয়েও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমানের নৌকার পক্ষে ভোট চান। তখন বিএনপি তাঁকে বহিষ্কার করে। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলাও আছে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা আশরাফুল হক। একই অভিযোগ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ১০ নম্বর নরোত্তমপুর ইউনিয়নের মনোনীত প্রার্থী হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। গত নির্বাচনে তাঁর ছবি ও ধানের শীষে ভোট চাই লেখা পোস্টার ফেসবুকে ঘুরছে।
২০১৬ সালে শরীয়তপুর সদরের মাহমুদপুর ইউনিয়নে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ইতালিপ্রবাসী শাহ আলম মুন্সি। কিন্তু দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। পরে তিনি ইতালি ফিরে যান, আর দেশে আসেননি। বিদেশি বসেই এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই নিয়ে দলের নেতারা কেন্দ্রে অসন্তোষ জানিয়েছেন।
যেভাবে প্রার্থী বাছাই
২০১৬ সাল থেকে দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৭ জনের একটি দলীয় মনোনয়ন বোর্ড আছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য উপজেলা, জেলা থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীর নামের তালিকা তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে সেই তালিকা উপস্থাপন করা হয়।
এর বাইরে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর নিজস্ব সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেন। এতে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার ক্রম সাজানো থাকে। বৈঠকে দুই তালিকা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।
মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, ৬ দিনে সাড়ে ৮০০ ইউনিয়নের সম্ভাব্য সব প্রার্থী সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা অসম্ভব। আবার দলীয় কোন্দলের কারণে তৃণমূলের তালিকার ওপর পুরোপুরি ভরসা করা যায় না। এ জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ওপরই বেশি জোর দেওয়া হয়। আবার গোয়েন্দা তালিকা কতটা সঠিক, নির্মোহ ও প্রভাবমুক্ত, সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এরপরও যতটা সম্ভব সঠিক প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে, বিরোধী দল নেই—এটা তো আদর্শ পরিবেশ নয়। এখন ভোটের চেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েই বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। ফলে প্রভাব খাটিয়ে হোক বা টাকা দিয়ে হোক, যে যেভাবে পারছেন, মনোনয়ন নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সব জায়গায় ভালো প্রার্থী আশা করা কঠিন।