কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৭ বছর পর উপজেলা এবং ২০ বছর পর পৌর ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।

দুই কমিটিতে আছেন পাঁচজন করে সদস্য। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, কমিটির মেয়াদ ধরা হয়েছে এক বছর। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমান খান এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।

আমির হামজাকে উপজেলা কমিটির সভাপতি ও রিয়াদ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। সালেম রহমানকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও এমদাদুল হককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় ভৈরব ছাত্রলীগের কাজের গতি কমে গিয়েছিল। নতুন নেতৃত্বের পথ বন্ধ হয়ে ছিল। তাই আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল ২০০৪ সালের ৬ জুন। তখন খলিলুর রহমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাইনুল ইসলাম বিজয়ী হন।

ওই কমিটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। ২০০৯ সালের পর মাইনুল অসুস্থ হয়ে নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নেন। দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটি সভাপতি খলিলুর রহমানের একক নেতৃত্বে চলছিল। ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে।

নতুন সভাপতি আমির হামজা বলেন, ‘ইমেজ ধরে রেখে ছাত্রলীগের গতিশীল নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় যা করা প্রয়োজন, সবই করা হবে।’

এদিকে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে পৌর ছাত্রলীগ চলে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বর্তমান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন। ২০০১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পৌর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর দীর্ঘ ২০ বছর আর কমিটি হয়নি। ফলে দেড় যুগের বেশি সময় ধরে পৌর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বলতে কিছু ছিল না।

পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সালেম রহমান বলেন, দীর্ঘদিন কমিটিশূন্য ছিল পৌর ছাত্রলীগ। এখন নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য মনোযোগ দেওয়াই হবে তাঁর মূল কাজ।