‘একনায়কত্ববাদী’ সরকারকে সরানো প্রথম অগ্রাধিকার: ইবরাহিম
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, তাঁদের প্রথম রাজনৈতিক অগ্রাধিকার বর্তমান ‘একনায়কত্ববাদী’ সরকারকে সরানো। এটি বাস্তবায়নে ২০-দলীয় জোটকে যদি সক্রিয় করা সম্ভব না-ও হয়, তাহলে কল্যাণ পার্টি যুগপৎ আন্দোলন করতে প্রস্তুত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এসব কথা বলেন।
তবে ২০-দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সংলাপে আন্দোলনের ক্ষেত্রে দুটি সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছোট্ট দুটি সীমাবদ্ধতা আছে। বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে আটকে রাখা হয়েছে। ওনার অনুপস্থিতিটা আমাদের মেকআপ করতে হলে নিশ্চয়ই অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে হবে।’
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ভৌগোলিকভাবে সাত হাজার মাইল দূরে রাখা হয়েছে। অতএব এ দুটো সীমাবদ্ধতাকে মেনে আমাদের এগোতে হবে।’
আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে আশা জাগানোর বিষয়ে বিএনপিকে পদক্ষেপ নিতে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন সৈয়দ ইবরাহিম। তিনি বলেন, আন্দোলন-পরবর্তী সরকার বদল হলে ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে, তারা গুণগতভাবে বর্তমানের চেয়ে অনেক উন্নত হবে—এই আশাটা জনগণকে, বিশেষ করে মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে বোঝাতে হবে।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাঁরা মনে করেন, এ মুহূর্তে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। এই সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করেছে, নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে একটা লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সত্যিকার অর্থে জনগণের একটা প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দরকার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত আমরা একমত হয়েছি, আমরা এ সরকারের বিরুদ্ধে একটা কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পদত্যাগের পর নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা হবে। পরবর্তীকালে বিচার বিভাগ, সংবিধানসহ রাষ্ট্রের সমস্যাগুলোকে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।
সংলাপে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০-দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ফোরকান ইবরাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবিরসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন।