জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। এটা করা হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম সম্ভাবনাটুকুও বিনষ্ট হবে বলে মনে করে দলটি। গত শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় কমিটির সদস্যরা এ মতামত দেন। আজ সোমবার এক সংবাদ বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএনপি মনে করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে। এখন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসংক্রান্ত কর্তৃত্ব দিলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম সম্ভাবনাটুকুও বিনষ্ট করবে তারা। এই ধরনের সিদ্ধান্তে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হলে তা ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের ন্যূনতম পরিসরকেও ধ্বংস করবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াকে চিরতরে ধ্বংস করবে। এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী কমিটি বলেছে, অন্যথায় এর নেতিবাচক প্রভাবের জন্য সরকারকেই সব দায়দায়িত্ব নিতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

স্বাস্থ্য খাতে দুনীতি, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাব, টিকা সংগ্রহে বিকল্প উৎসের সন্ধান না করাসহ বিভিন্ন ব্যর্থতার দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের (ধরন) ভীতিকরভাবে সংক্রমণ এবং জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত পরীক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় উদ্বিগ্ন স্থায়ী কমিটি। সরকার টিকা সংগ্রহ, বিতরণের বিষয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। চুক্তিকৃত টিকা সংগ্রহ করতে না পারা, বিকল্প উৎসের সন্ধান না করা, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য টিকা উৎপাদনের কোনো উদ্যোগ নিতে না পারায় পুরো জাতিকে আজ বিপন্ন করে তুলেছে।

স্থায়ী কমিটির সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।