কালাইয়ে মেয়র প্রার্থীর পথসভায় ককটেল বিস্ফোরণ

পথসভার মঞ্চের চেয়ারের নিচে লাল স্কচটেপ মোড়ানো ককটেল সদৃশ বস্তু দেখা যাচ্ছে। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা এলাকায়
সংগৃহীত

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তৌফিকুল ইসলাম তালুকদারের নির্বাচনী পথসভায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার হিন্দুপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।আহতদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, পথসভার সভাপতি আক্কাছ আলী রাত সাড়ে ১০টার দিকে বক্তব্য শেষ করেন। পরে পথসভা স্থলে লোকজন খাবারের জন্য বসেন। তখনই হঠাৎ করে পথসভার মঞ্চের বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মঞ্চে তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথসভার মঞ্চের নিচে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ইশতিয়াক আলম ও কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি সেলিম মালিক প্রথম আলোকে বলেন, পথসভার মঞ্চে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। মঞ্চে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, 'আমার নির্বাচনী পথসভায় ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমার তিনজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কর্মী-সমর্থকদের ককটেলের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেউ আমার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।’

কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী আনিছুর রহমান তালুকদার ফাইভ মার্ডার মামলার আসামি। খুনের আসামির পক্ষে সবকিছুই সম্ভব। আমি মনে করি, বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থীই আমাদের পথসভায় ককটেল হামলা চালিয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘আমাকে ও আমার দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতেই দিচ্ছে না। আমার কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মঞ্চে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়েছে। তাঁরা ককটেল নাটকের ভয় দেখিয়ে আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে সরে রাখতে চাচ্ছে। আগামী ১০ অক্টোবর লোকজন এসব নাটকের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’