নির্বাচন কমিশন গঠনে খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দেবে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার এ কথা বলেন।
আজ সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির, তাই খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাব বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবটি দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। বিএনপি যদিও এখনো সময় পায়নি। তবে তারা আশা করছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করার সুযোগ রাষ্ট্রপতি দেবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে, বর্তমান যে সংকট চলছে, সেটি নিরসনের একমাত্র উপায় হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক। তিনি কোনো দলভুক্ত নন। তিনি এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করার উদ্যোগ নেবেন বলে বিএনপি আশা করছে।
গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষে ১৩ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রস্তাবে তিনি সব দলের সঙ্গে আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বিতর্কমুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিশন গঠনের সুপারিশ করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ওই দিনই বিএনপির প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠন করার এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে তিনি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে পারেন। তবে বর্তমান কমিশন গঠনের আগে সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠন করেছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিএনপি এবারও সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।