পদ্মা সেতুর ভিত্তি নিয়ে মিথ্যাচার করে নিজের রেকর্ড ভাঙলেন মির্জা ফখরুল: তথ্যমন্ত্রী

পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন নিয়ে মিথ্যাচার করে বিএনপি মহাসচিব নিজের অসত্য কথনের রেকর্ড ভেঙেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকেরা মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘খালেদা জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছেন’—এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আজ তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত রোববার ঠাকুরগাঁওয়ের এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেন, পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়াতে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় তাঁর মোবাইল থেকে ভিত্তিপ্রস্তর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মো. আনিছুল হক চৌধুরীর বাণী ও স্মরণিকার ছবিগুলো উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে এ ধরনের অপপ্রচার না করে ভুল স্বীকার করার অনুরোধ জানাই। বিএনপির এখন বলা উচিত, তারা যে পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, সেটি তাদের ভুল ছিল। ভুল স্বীকার করতে কোনো বাধা নেই, লজ্জাও নেই।’

এর আগে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আয়োজিত ‘শিশুবিষয়ক উন্নয়নে সাংবাদিকতা’ বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।

কর্মশালাটিকে সময়োপযোগী বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আর উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন তাদের আত্মিক উন্নয়ন। কারণ, শুধু বস্তুগত উন্নয়ন টেকসই হয় না। বস্তুগত বা অবকাঠামোগত উন্নয়নই যদি একমাত্র উন্নয়ন হতো, তাহলে ইউরোপের দেশগুলোতে মানবিকতা ও মূল্যবোধের সংকট হতো না, দুর্ঘটনা হলে শুধু জরুরি সেবার অপেক্ষায় থাকতে হতো না, বয়স্ক ব্যক্তি মানেই বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হতো না।’

বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ। শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।