বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অনেকের জন্য উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা ভোগ করে এবং গত সাড়ে ১২ বছরে গণমাধ্যমের যে বিকাশ হয়েছে, অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার দুপুরে মন্ত্রী রাজধানীর মিন্টো রোডে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তথ্য অধিদপ্তর সংকলিত ‘অনশ্বর বঙ্গবন্ধু' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে এ কথা বলেন।
ভার্চ্যুয়াল এ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সচিব মো. মকবুল হোসেন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এবং পিআইডির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এ সময় ‘বিভিন্ন সংস্থা সময়ে সময়ে নানা দেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকারসংশ্লিষ্ট বিষয়ে নানা বিবৃতি, প্রতিবেদন দেয়, যা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না’—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বে কিছু সংস্থা আছে যারা বিবৃতি বিক্রি করে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখতে পাচ্ছি, কিছু সংস্থা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে। এগুলো আসল বিবৃতি বা প্রতিবেদন নয়, বিশেষ মহলের প্ররোচনায় বিশেষ প্রেক্ষিতে, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এগুলো দিচ্ছে, মাঝেমধ্যে বিবৃতি বিক্রিও করছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার সংস্থার নামে বিবৃতি বিক্রি বা রিপোর্ট প্রকাশ করা মানবাধিকার উন্নয়নে সহায়ক হয় না, বরং মানবাধিকার সংরক্ষণের বিরুদ্ধে যায়।
‘অনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থ প্রকাশের জন্য তথ্য অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ওপর যত লেখনী, কবিতা ও গ্রন্থ প্রকাশিত হবে, আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে, আমাদের নতুন প্রজন্ম সমৃদ্ধ হবে, তারা বঙ্গবন্ধুকে জানবে, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস জানবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই যুগে মানুষ যখন প্রচণ্ড আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে, তখন আমাদের পূর্বসূরিরা জাতির পিতার ডাকে কীভাবে জীবন সঁপে দিয়ে দেশ রচনা করেছে, তা ফিরে দেখা একান্ত প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি নিরস্ত্র জাতিকে উজ্জীবিত করে দেশের জন্য প্রাণ সঁপে দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, সেই ইতিহাস এ ধরনের গ্রন্থগুলো থেকেই সবাই জানবে।’