মন্ত্রীদের কথায় ঘোড়াও হাসে
বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপিকে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ায় মন্ত্রীদের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মন্ত্রীদের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (সংশোধন) বিল–২০২২’ পাসের আলোচনায় হারুন এ কথা বলেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রীরা সঠিক তথ্য দেন না। জবাব দেন অন্য রকম, বিএনপিকে টেনে এনে বক্তব্য দেন। মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন নিয়ে তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্যের জবাবে বিএনপিকে টেনে এনে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছেন। এসব কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।
বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে চমৎকার সব পর্যটন এলাকা থাকার পরও অদক্ষতা, অযোগ্যতা, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়া, অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে পর্যটনের বিকাশ হচ্ছে না। নারী পর্যটকদের হয়রানির শিকার হওয়া স্বাভাবিক বিষয় হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই অবস্থাতেও এখন এই খাতে যা হচ্ছে তাতে এটি একটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস। সম্প্রতি কয়েক দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। তখন আলুভর্তা, ডাল–ভাত বিক্রি হয়েছে ৩০০–৪০০ টাকায়। হোটেল ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তিন থেকে পাঁচ গুণ।
রাঙামাটিতে নিজের একটি রিসোর্ট নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আইন করে কী হবে। পর্যটনশিল্পের বিকাশে বড় বাধা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এখানে এত বেশি জটিলতা যে কেউ এ শিল্পে যাবে না।
পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিলে পর্যটকের সংজ্ঞায় পরিবর্তন এবং ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকান পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, পর্যটন করপোরেশন ডিউটি ফ্রি দোকান পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে। বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্পর্কে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, আইনটি সংসদের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের পর্যযটনশিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধিসহ কাজের পরিধি বিস্তৃত হবে। পর্যটনশিল্প বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।