‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ খালেদা জিয়ার কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি: ঢাবির সাদা দল
‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (সিএইচআরআইও) দেওয়া এই সম্মাননা খালেদা জিয়ার জন্য একটি কাঙ্ক্ষিত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে মনে করে সংগঠনটি।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করে সাদা দল। সংগঠনের পক্ষ থেকে সাদা দলের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান বিবৃতিটি পাঠান।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সর্বদা আপসহীন ভূমিকা পালন করেছেন। গত শতাব্দীর আশির দশকে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার, ২০০৬–২০০৮ সাল পর্যন্ত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে চলমান অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে তাঁর সোচ্চার ভূমিকা সুবিদিত। কোনো প্রলোভন বা নিপীড়ন-নির্যাতন কখনো তাঁকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি। এর সর্বশেষ নজির, বর্তমান সরকারের শাসনামলে খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের ওপর দুঃসহ নির্যাতন এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নির্মূল করার অপচেষ্টা। কিন্তু কোনো কিছুতেই তিনি তাঁর আপসহীন অবস্থান থেকে সরে যাননি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সরকারের মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলায় কারান্তরীণ থেকেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে প্রেরণাদাত্রীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসা না পেয়েও তিনি কোনো ধরনের আপস প্রস্তাবের কাছে মাথা নত করেননি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি ও একজন দেশপ্রেমী রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অসামান্য অবদানের জন্য মাদার অব ডেমোক্রেসি সম্মাননা খালেদা জিয়ার জন্য এক কাঙ্ক্ষিত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।’ খালেদা জিয়াকে এই সম্মাননায় ভূষিত করায় সাদা দল সিএইচআরআইওকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়।
সাদা দলের ওই বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া এবং তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানানো হয়।
এদিকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা পাওয়ায় খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম ও সদস্যসচিব মো. আমানউল্লাহ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাংলাদেশের শোষিত মানুষের মুক্তি ও সবার সমানাধিকারের জন্য ত্যাগ খালেদা জিয়াকে বিশ্ববিপ্লবীর মর্যাদায় আসীন করেছে। এই সম্মাননা তাঁর যথার্থ প্রমাণ। গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়ার এই বিশ্বস্বীকৃতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মুক্তিকামী জনগণকে উজ্জীবিত করবে।