মামলার আগে দেখবে আ.লীগের লোক জড়িত কি না: আমীর খসরু

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
ছবি: প্রথম আলো

সীতাকুণ্ডের ঘটনা রাজনীতির বিষয় নয় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার প্রতিটি জায়গায় যখন ব্যর্থ হয়েছে, তখন নাশকতা ছাড়া তারা আর কিছুই দেখছে না। দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তারা নাশকতা দেখে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই বিএনপি নেতা বলেন, এই যে সরকার বারবার নাশকতার কথা বলছে, এটার পেছনে কারণ আছে। মামলার আগে তারা দেখবে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের কোনো লোকজন জড়িত আছে কি না। আগে তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখবে। তারপর আওয়ামী লীগ মামলা–মোকদ্দমা সেইভাবে করবে। এটা শুধু এখানকার দৃশ্য নয়, সারা দেশে এভাবেই সব হচ্ছে। আওয়ামী লীগ করলেই পার পাওয়া যায়।

কনটেইনার ডিপোটি নিয়মের মধ্যে পরিচালনা হয়েছে কি না, সেটি দেখতে হবে। এটা কি মালিকের ব্যর্থতায় হয়েছে, না অন্য কারও ব্যর্থতায় হয়েছে। সরকার এই কথাগুলো না বলে নাশকতার কথা বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে।

দেশে আইনকানুন যেগুলো আছে, তা প্রয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগ না হওয়ার কারণ হচ্ছে, এখানে অব্যবস্থাপনা, অযোগ্য, অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজেরা দেশ পরিচালনা করছে। তাদের এসব ব্যর্থতা ঢাকতে তারা নাশকতা দেখবে। এতে করেই সব দায়ভার বিএনপির ওপর চাপাতে পারবে। তাদের আর কোনো কিছু দেখার কারণ নেই, কারণ তাদের নাশকতায় দেখতে হবে।

আরও পড়ুন

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ জামিল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পরে আমীর খসরু সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ বিএম কনটেইনার ডিপোর গাড়িচালক মনিরুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানান।

গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় এই ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আগুন ছড়িয়ে রাসায়নিকের কনটেইনারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।