রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

‘বিএনপি রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল, রাজনীতিতে কালো টাকা এবং ‘মাসলম্যান’ (পেশিশক্তি) আমদানি করেছিল’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়ন-ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও স্বাধীনতা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন, আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তি, তাঁর জীবনগাথা একটি সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান, পৃথিবীর সামনে তিনি এক অনুকরণীয় নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত।

বিএনপি’র সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-সহ বিএনপির অন্য নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেছেন, আজকে না কি নষ্ট সময় যাচ্ছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তারাই রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল। জিয়াউর রহমান দম্ভ করেই বলতেন যে, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’। বিএনপিই রাজনীতিতে কেনা-বেচার হাট বসিয়েছিল। বিএনপির বড় বড় নেতা যারা আজকে বড় বড় কথা বলে তারা অনেকেই রাজনীতির হাটে বিক্রি হওয়া রাজনীতিবিদ। তারা যখন সময় নিয়ে প্রশ্ন রাখে, তখন মনে করতে হবে সময়টা ভালো যাচ্ছে।’

‘বাংলাদেশে গুম-খুনের রাজনীতি চালু করেছিল বিএনপি, খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু খুন নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যাতে হত্যার বিচার না হয়, সে জন্য তারা সংসদে আইন পাস করেছিল। বিএনপি’র আমলে ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনায় প্রায় শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘২০০১ সালে নির্বাচনের পরে ৮বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে শত শত নারীকে ধর্ষণ-নির্যাতন করা হয়েছে। নারী ধর্ষণের কোনো বিচার বিএনপি করেনি বরং দলগতভাবে তাদের বাহবা দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি অরুণা বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, কুয়েত আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক হোসেন, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।