শিক্ষা খাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি মওকুফ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মানববন্ধন। জাতীয় প্রেসক্লাব, ২৭ মে
ছবি: প্রথম আলো

দেশে আগামী জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা বলেন, করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের বেতন–ফি মওকুফের সরকারি ঘোষণা, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সংক্রমণ এড়াতে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। করোনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা ছাড়াই দীর্ঘ লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় ৩ জুন চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষিত হবে। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রক্ষায় এই বাজেট বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রচলিত নিয়মেই জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, গত বছর করোনাকালে ও শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’

সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেন, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের নিম্নমধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষ। যেখানে সংসারের খরচ মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে, সেখানে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ মেটানোর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে শিক্ষার্থীরা নিজের খরচ নিজে চালাতেন, তাঁরাও অথই জলে পড়েছেন।

শিক্ষার্থীদের এ বছর সব রকম বেতন–ফি মওকুফ করা হলে এ সংকটে শিক্ষক ও অভিভাবকদের পাশে দাঁড়ানো যাবে। পাশাপাশি করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করতে হবে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাসুদ রানা। সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অর্থ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ, সদস্য অরূপ দাস, সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।