বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বাধা তৈরি করতে সরকার সুবিধামতো আইন বিশ্লেষণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কোনো মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসালাভ আইন রহিত করে। সে দেশের সে আইন বদলানো দরকার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা পাবে, এটাই হলো উচিত কাজ। কোনো আইন যদি বাধা হয়, আইন বদলানো উচিত। কিন্তু দেশে আইন তো আছে, বদলানোর প্রয়োজন নেই। আপনারা শুধু আপনাদের সুবিধামতো তা বিশ্লেষণ করছেন।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কোনো দেশে কারও সুচিকিৎসার জন্য আন্দোলন করতে হয় শুনিনি। কোনো সভ্য দেশে চিকিৎসার দাবি জানাতে হয়, এটা অস্বাভাবিক। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কীভাবে বলি, ক্ষমতার লোভে আমার দেশকে অসভ্য দেশে পরিণত করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আইনমন্ত্রী বললেন, বাইরে থেকে ডাক্তার আনতে কোনো অসুবিধা নেই। আপনারা তো আপনাদের সাধারণ সম্পাদকের জন্য বিদেশি চিকিৎসক এনেছিলেন। তারপরও তাঁকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়েছিলেন কেন? বাইরের ডাক্তার নিয়ে এলেই যদি সব চিকিৎসা সম্ভব হয়, তাহলে তো তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বাইরে পাঠানোর প্রয়োজন ছিল না। নিজেরা সব দেখার পরও যে কথা আপনারা বলেন, আপনারা কি বোঝেন না দেশের মানুষ এসব কথার জন্য কীভাবে সমালোচনা করে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আপনারা একবার বলেন আদালতের সব ক্ষমতা, সরকারের কোনো ক্ষমতা নেই। কয়েক দিন পর দেখলাম, সরকারের আদেশেই খালেদা জিয়া বাসায় এলেন। আজ আবার বলছেন আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। তাঁকে আবার জেলে যেতে হবে, তাহলে সুযোগ হবে। দেশের স্বার্থে রসিকতা বন্ধ করেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব) এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সংগঠনটির সভাপতি ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি ২৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কখনো পরাজিত হননি। আজ সেই হিংসায়, সরকার তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দিয়েছে।