স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ৪৮২ জনের মুক্তি চাইল হেফাজত
কারাবন্দী ৪৮২ নেতা-কর্মীর তালিকা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তাঁদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এ ছাড়া সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করার জন্যও মন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন হেফাজতের নেতারা।
সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে তাঁর সচিবালয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় হেফাজতের পক্ষ থেকে সংগঠনের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ সারা দেশে কারাবন্দী ৪৮২ জন নেতা-কর্মীর তালিকা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা তিনটা থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতারা কথা বলেন। পরে সাক্ষাতের বিষয়ে হেফাজতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, ‘এ পর্যন্ত যেসব বন্দীর মুক্তি হয়েছে, তাঁদের মুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের শুকরিয়া আদায় করছি। একই সঙ্গে এখনো যেসব ওলামায়ে কেরাম, হেফাজতের নেতা-কর্মী ও ইসলামপ্রিয় জনতা বন্দী রয়েছেন, তাঁদের সবার দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি। তাঁদের বন্দিত্বের সময়কাল ১০ মাসের বেশি হয়ে গেছে। একেকজন বন্দীর কারণে একেকটি পরিবার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠান সমস্যাগ্রস্ত অবস্থায় আছে। কেউ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারাবন্দীদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের লোকজনের সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের বক্তব্য খুব ভালো করে এবং মনোযোগসহকারে শুনেছেন। আমরা ওনাকে ৪৮২ জন কারাবন্দী নেতা-কর্মীর তালিকা দিয়েছি। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন মুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতার।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ সাক্ষাতে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইয়াহিয়া, নায়েবে আমির মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী।