হলের কক্ষ দখল নিয়ে চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ২

প্রতীকী ছবি

হলের কক্ষ দখল নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই উপপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে শহীদ আবদুর রব হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহত দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন মো. আলাউদ্দিন ও মো. জিহাদ। সংঘর্ষের এ ঘটনায় নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।

বিবদমান উপপক্ষগুলো হলো বাংলার মুখ ও একাকার। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি মূলত দুটি পক্ষে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অন্য পক্ষটি আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। এ দুটি পক্ষ আবার ১১টি উপপক্ষে বিভক্ত। বাংলার মুখ ও একাকার—দুটিই সাবেক সিটি মেয়রের অনুসারী। মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষে আহত দুজনই বাংলার মুখের কর্মী।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, হলের তিনতলার একটি কক্ষ কারা দখলে নেবে, তা নিয়ে রাত ১১টার দিকে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। হলে সংঘর্ষ চলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে সবাইকে সরিয়ে দেন। ইটের আঘাতে আহত হন দুজন। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নগরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

একাকারের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মঈনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হলের তিনতলার একটি কক্ষ নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। ওই কক্ষে যাঁরা থাকতেন, তাঁরা চলে যাচ্ছেন। নতুন করে কারা উঠবেন, সেটি নিয়েই মারামারি।

বাংলার মুখের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আবু বকর বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে কক্ষ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি সমাধান করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট হলের সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে ছাত্রদের হল ৯টি, ছাত্রী হল ৫টি। তবে ছাত্রদের জন্য চালু আছে ৭টি হল। বাকি দুটি নির্মাণাধীন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। কাল জ্যেষ্ঠ নেতারা বসে সমাধান করবেন। আর অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।