২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল হবে: তথ্যমন্ত্রী
২১০টি ‘ব্রিফকেসবন্দী’ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করতে জেলা প্রশাসকদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজশাহী বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে ২১০টি পত্রিকা, ব্রিফকেসবন্দী পত্রিকা, যেগুলো আসলে ছাপায় না, বিজ্ঞাপন পেলে মাঝেমধ্যে হঠাৎ ছাপায়। এই পত্রিকাগুলো আমি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, তারা তো পত্রিকা চালানোর জন্য ডিক্লারেশন নেয়নি। বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য ও নিউজপ্রিন্টের যে কোটা আছে, সেই কোটায় নিউজপ্রিন্ট এনে বিক্রি করার জন্য ডিক্লারেশন নিয়েছে। তাদের কার্যক্রম মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ক্ষতি করছে। সেই ক্ষতিটা মূলধারার সাংবাদিকদের ওপর পড়ছে।
তবে নতুন আরও পত্রিকা ডিক্লারেশন পাবে বলে উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী।
গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। সব ধরনের সংবাদ প্রচার করবেন। যেসব বিষয়ে সাফল্য রয়েছে, সেগুলোও গুরুত্বসহকারে প্রচার করবেন।
গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কেউ গণমাধ্যমকে নিজের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করছে। কেউ ব্যবসায়িক প্রোটেকশন দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে। কেউ একটি ব্রিফকেস নিয়ে গণমাধ্যমের মালিক হয়েছে, উনি নিজেই পত্রিকার মালিক, নিজেই সাংবাদিক, নিজেই সবকিছু।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফখরুল সাহেব (বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) স্বীকার করুন আর না করুন, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিবিদেরা স্বীকার করেন বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা শহরে এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। দেশের মানুষ এখন অনেক ভালো আছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ দ্বীপ আজাদসহ অনেকে।