বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতি

বইেয়র প্রচ্ছদ, ছবি: ক্যামিব্রজ ইউনিভার্সিটি প্রেস
বইেয়র প্রচ্ছদ, ছবি: ক্যামিব্রজ ইউনিভার্সিটি প্রেস

ক্লাইমেট ক্যাপিটালিজম: গ্লোবাল ওয়ার্মিং অ্যান্ড দ্য ট্রান্সফরমেশন অব দ্য গ্লোবাল ইকোনমি, পিটার নুয়েল ও ম্যাথু প্যাটারসন
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০১০।

১.
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বহু গবেষণা, ভবিষ্যদ্বাণী ও বিতর্ক হচ্ছে। পৃথিবীর প্রায় সব বিজ্ঞানীই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ভবিষ্যত্ হুমকির বিষয়ে একমত। কিন্তু জীবাশ্ম-জ্বালানিনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে কিছু প্রভাবশালী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সন্দেহ পোষণনীতি অনুসরণ করছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে বিদ্যমান নব্য উদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান খোঁজারও চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও সার্বিক বিচারে আদিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বিদ্যমান ব্যবস্থায় এই সংকটের সমাধান পাওয়া দুষ্কর, কিন্তু সংকটের মাত্রা কিছুটা কমানোর লক্ষ্যে নতুন ধরনের এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এর উদ্দেশ্য হলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মুনাফা করার সুযোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানো। নতুন এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানের লক্ষ্যেই এই বই আলোচনা করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।

সার্বিক বিচারে কোনো সবুজ বিপ্লব এখনো দিগন্তরেখায় আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে অনিয়ন্ত্রিত জীবাশ্ম-জ্বালানির ওপর মানুষের নির্ভরশীলতার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে এবং সব বিবেচনায় এর প্রভাব নেতিবাচক। এ কথা বিজ্ঞানীরা জানেন, রাজনীতিবিদেরা জানেন এবং অর্থনীতির বড় বড় খেলোয়াড়েরাও জানেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পিটার নুয়েল ও ম্যাথু প্যাটারসেনের ক্লাইমেট ক্যাপিটালিজম বইটি সবুজ পুঁজিবাদ বা পরিবেশবান্ধব পুঁজিবাদের সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখেছে।

[বিস্তারিত দেখুন জানুয়ারি–মার্চ ২০১৮ সংখ্যা (২২তম সংখ্যা)৷