সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা

সারসংক্ষেপ

রাজনৈতিক আলাপের বিবাদপূর্ণ প্রচলিত ধারা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ন্ত। এর মধ্যেই পণ্ডিতেরা চিহ্নিত করা শুরু করেছেন যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে যেই সামাজিক প্রেক্ষাপট ও আদান-প্রদান তৈরি হয়েছে তা অনলাইন রাজনৈতিক আলোচনার পরোক্ষ অংশগ্রহণ থেকে বাস্তব জীবনে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক অংশগ্রহণের পথ তৈরি করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের প্রেরণা এসব গতিশীলতাকে প্রভাবিত করে। কিন্তু এ বিষয়ে খুব বেশি কাজ নেই। এই গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত দুই মেয়াদে প্যানেল জরিপের মাধ্যমে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। অনলাইনে রাজনৈতিক ভিন্নমত ও তর্ক-বিতর্ক থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীরা রাজনৈতিক তথ্যাদি শেয়ার করে। এর ফলে তাদের অফলাইনে বা বাস্তব জীবনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বাড়ে। এই সম্ভাবনা যাচাই করাই এই গবেষণার উদ্দেশ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নির্দিষ্ট কিছু প্রেরণা রয়েছে, যেমন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সম্পর্ক রক্ষা করা ও আত্মপ্রচার। আলোচনায় রাজনৈতিক ভিন্নমত তৈরি হলে ব্যবহারকারী কী পরিমাণে রাজনৈতিক তথ্য শেয়ার করবে, তা এসব প্রেরণা দ্বারা নির্ধারিত হয় কি না, তা-ও এই গবেষণায় পরীক্ষা করা হয়েছে। আমাদের গবেষণা ফলাফলে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক তথ্য শেয়ারের প্রভাবের ফলে বেশি আকারে অনলাইনে রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এর ফলে অফলাইনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয়। আমরা এ-ও পর্যবেক্ষণ করেছি, যেসব ব্যবহারকারী রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বা সম্পর্ক রক্ষার তাগিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে (আত্মপ্রচারের জন্য নয়), তাদের ওপর এই পরোক্ষ প্রভাব বেশি শক্তিশালী। আমাদের ফলাফলে যে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তা হলো অনলাইন রাজনৈতিক ভিন্নমত থেকে অফলাইন রাজনৈতিক সক্রিয়তা, যা রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক দুভাবেই উদ্বুদ্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

মুখ্য শব্দগুচ্ছ

বহুবিধ বিষয়ে আলোচনা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, তথ্য শেয়ারিং, রাজনীতি, সম্পর্ক রক্ষা।

[বিস্তারিত দেখুন জানুয়ারি–মার্চ ২০১৮ সংখ্যা (২২তম সংখ্যা)৷