বর্তমান পৃথিবীতে মার্ক্সবাদের প্রাসঙ্গিকতা

সারসংক্ষেপ

২০১৮ সালের ৫ মে দুনিয়াব্যাপী পালিত হলো কার্ল মার্ক্সের (১৮১৮-১৮৮৩) দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী। ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কালে মার্ক্সবাদ বিশ্বব্যাপী যে প্রভাব বিস্তার করেছিল, ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর সেই প্রভাব অনেকটাই স্তিমিত। গণচীন যে মার্ক্সবাদী ব্যাকরণ মেনে চলে, তাকে অনেকেই মার্ক্সবাদ বলে স্বীকার করতে আপত্তি জানান। ফলে অনেকের মতেই সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মার্ক্সবাদ বহুলাংশেই যবনিকার অপর প্রান্তে আত্মগোপন করেছে। এমন এক সময়ে, মার্ক্সবাদ কি বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য আগের মত প্রাসঙ্গিক? শুধু পুঁজিবাদের সুরতহাল করার বাইরে কি মার্ক্সবাদ আর ইতিহাসের বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনার ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে না? দর্শনশাস্ত্রের নব পঠন-পাঠনে কি মার্ক্সবাদ তার আবেদন হারিয়েছে? মূলত মার্ক্সের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকীতে বিশ্বের বড় বড় মার্ক্সবাদী, অমার্ক্সবাদী ও মার্ক্স-বোদ্ধাদের (Marxologist) আলোচনায় এই প্রশ্নগুলোই ঘুরেফিরে আসছিল। সেই সূত্র ধরেই বক্ষ্যমাণ লেখাটি আধুনিক পশ্চিমা বিশ্বের দর্শনের সূতিকাগার জার্মান দেশসহ অন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে এই শতাব্দীতে মার্ক্সের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে যে অনেক সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক মুখ খুলেছেন, তাঁদের মতামত ও চিন্তার ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। এই লেখায় এই নতুন শতাব্দীতে মার্ক্সের তত্ত্বের কার্যোপযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইতিহাসের পথচলায় মার্ক্সবাদ কি আজও নতুন দিশার নির্দেশ দেয় কি না, তার পর্যালোচনাই বর্তমান লেখাটির অন্যতম উদ্দেশ্য। এখানে সেই সব তথ্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেগুলো মূল জার্মান থেকে ইংরেজি বা বাংলায় আগে অনূদিত হয়নি। পাশাপাশি ইংরেজিভাষী তাত্ত্বিকদের বয়ানও হাজির করা হয়েছে।

(বিস্তারিত দেখুন এপ্রিল-জুন ২০১৮ সংখ্যায়)