হজযাত্রীরা আজ মিনার উদ্দেশে রওনা দেবেন
পবিত্র হজ পালন করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ শনিবার মিনার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মিনা। হজযাত্রীরা মিনায় যাবেন বাসে করে। হজের অংশ হিসেবে তাঁরা পাঁচ দিন মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা, মক্কা ও মিনায় অবস্থান করবেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার সৌদিতে অবস্থানরত ৬০ হাজার মানুষ হজ পালন করবেন। হজযাত্রীদের জন্য এবার তিন হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি বাসে ২০ জন করে চলাচল করবেন। লাল, সবুজ, হলুদ ও নীল—এই চার রঙের ট্র্যাকে বাসগুলো চলবে।
প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কখন মিনার উদ্দেশে রওনা দেওয়া হবে। একইভাবে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফায় কীভাবে ও কখন রওনা হবেন, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয় আগেভাগে।
মিনার যেদিকে চোখ যায়, তাঁবু আর তাঁবু। চৌচালা ঘরের মতো এসব তাঁবুতে থাকবেন হজযাত্রীরা। এ সময় মিনায় আগুন জ্বালানো নিষেধ। কারণ, এতে তাঁবুতে আগুন লেগে যেতে পারে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এসব তাঁবুতে আছে বাতি, বাথরুম।
হজের পাঁচ দিন ছাড়া মিনা খালি পড়ে থাকে। চারপাশের প্রবেশদ্বারও তখন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, টেলিফোন সংযোগ। হজের দুই দিন আগে মিনা এলাকার ফটক খোলা হয়। হজের দুই দিন পর আবার সব বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৮ জিলহজ মিনায় সারা দিন ও ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। আরাফাত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন তাঁরা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।
এবারের হজে অত্যাধুনিক স্মার্ট কার্ডের সাহায্যে সুযোগ-সুবিধা পাবেন হজযাত্রীরা। মক্কার গভর্নর ও সেন্ট্রাল হজ কমিটির প্রধান প্রিন্স খালেদ আল ফয়সালের উপস্থিতিতে প্রথম স্মার্ট কার্ড চালু হয়।