আধুনিক ধমক কিংবা দাঁড়ানোর গল্প

আঁকা: তুলি
আঁকা: তুলি

এই বিষয়ে অন্য কোনো প্রার্থী (লেখক) না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কামরুল হাসানের লেখাটি ছাপানো হলো
বিলু একটা ভুল করে ফেলেছে। ছড়া লিখতে হয় সাধারণত লাস্ট বেঞ্চে বসে। কিন্তু আজ ও থার্ড বেঞ্চে বসেই একটা ছড়া লিখে ফেলেছে।

আঁকা: তুলি
আঁকা: তুলি


‘সকল টাক নিপাত যাক
ঝাঁকড়া চুল মুক্তি পাক!’
দারুণ! কিন্তু টাক মাথার বশির স্যার সেটা দেখে ফেলেছেন। চোখ পাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার সাথে নির্বাচন করিস?’ বিলু তো অবাক। নির্বাচন করিস মানে কী? ‘ইয়ার্কি করিস’ বা ‘মশকরা করিস’ বললে নাহয় কথা ছিল! কিন্তু এটার মানে কী? হোয়াট?
ওপরের গল্পটা নিছক বানোয়াট, কিন্তু অবাক হওয়ার কিছুই নেই। সরকার যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে এমন ‘আধুনিক ধমক’ সত্যি হলেও হয়ে যেতে পারে! আবার বিলুর প্রসঙ্গে আসা যাক। ওর মাথায় প্রায়ই একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। নির্বাচনে সবাই দাঁড়ায় কেন? বসলে ক্ষতি কী?
আসলেই তো! নির্বাচনে বসা যায় না কেন? কিন্তু চাইলেই তো বসা যেত। সব দল মিলে যদি বসত, তাহলেই তো এখন সবাই মিলেমিশে দাঁড়ানো যেত, তাই না?
তবে দেশের মানুষ কিন্তু ঠিকই দাঁড়ায়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে দাঁড়ায়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই এক লাইনে দাঁড়িয়ে যায়।