ডাক ডাক বেলি আমরা সবাই খেলি

ছোট্ট বন্ধুরা, লুডু, দাবা, ভিডিও গেম তো তোমরা অনেক খেলেছ। এবার তোমাদের নতুন একটা খেলা শেখাব। সহজ খেলা কিন্তু খুবই মজার। খেলাটার নাম হলো ‘নির্বাচন নির্বাচন’ খেলা।
উপকরণ

একটা বাক্স
একটা বাক্স

নির্বাচন নির্বাচন খেলার জন্য প্রথমেই সবাইকে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে যেতে হবে। দল যত বেশি হবে, খেলার মজাও ততই বাড়বে। তবে একাধিক দল না হলেও সমস্যা নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের মতো মজার অপশনও এই খেলায় আছে।

বেশ কিছু সাদা কাগজ
বেশ কিছু সাদা কাগজ


ধরা যাক, আমাদের এই খেলায় দুটি দল আছে। এক দলের নেতার নাম রিনি, আরেক দলের নেতা ঝিনি। খেলা শুরুতেই রিনি-ঝিনিকে নিজেদের একটা মার্কা পছন্দ করতে হবে। রিনির মার্কা ললিপপ, ঝিনির লিপস্টিক। রিনি-ঝিনির বন্ধুদের মধ্যে যে একটু বোকাসোকা, তাকে নিশ্চিন্তে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে। রান্নাঘর থেকে একটা বাক্স এনে সেটার নাম দিতে হবে ‘ব্যালট বাক্স’। বাক্সটা যেন স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের হয়, সেদিকে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখবে। বাজে প্লাস্টিকের বাক্স হলে খেলার মজা কমে যেতে পারে। এরপর বাক্সটা ঘরের সুবিধাজনক জায়গায় রাখবে।

সিল ও সিল-প্যাড
সিল ও সিল-প্যাড

কাগজগুলোয় রিনি-ঝিনির মার্কার ছবি এঁকে সেগুলো রাখতে হবে ব্যালট বাক্সের পাশে। তারপর ভোট দেওয়ার পালা। দুই দুলের সমর্থকেরা একে একে ভোট দিতে আসবে। ললিপপ বা লিপস্টিক যার যেটায় পছন্দ, সেটায় সিল মেরে ফেলবে ব্যালট বাক্সে। কাজটা করতে হবে খুব গোপনে। কে কোন মার্কায় সিল দিল, তা যেন কেউ টের না পায়।
খেলা ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য রিনি-ঝিনির আব্বু-আম্মু, বড় আপু-ভাইয়াদের নির্বাচন পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। তবে পর্যবেক্ষক ছাড়াও খেলা হবে। এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না।
সবার ভোট দেওয়া শেষ হলে গুনে দেখা হবে, কে বেশি ভোট পেল। রিনি-ঝিনির মধ্যে যে বেশি ভোট পাবে, তাকেই বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। তারপর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর যে জিতবে, পরবর্তী এক সপ্তাহ সে-ই হবে টিভির রিমোটের মালিক। এক সপ্তাহ সে তার ইচ্ছামতো টিভি দেখতে পারবে। তখন পরাজিতকে অবশ্যই বলতে হবে, ‘এই নির্বাচন মানি না, নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে।’ এ কথা বলার মধ্য দিয়ে একটা নির্বাচন নির্বাচন খেলা শেষ হবে। ইচ্ছা করলে তোমরা এই খেলা বারবার খেলতে পারো।

শেষ কথা
খেলাধুলা শরীর ও মনকে রাখে চাঙা। তাই সবারই নিয়মিত খেলাধুলা করা উচিত। দেশে মাঠের অভাব থাকায় বাচ্চারা খেলাধুলায় নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারে না। তাই ইনডোর গেমসের ওপর আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নির্বাচন নির্বাচন খেলা তেমনই একটি আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর গেমস। শিশুদের মেধা বিকাশে এই খেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তা ছাড়া খরচও কম। ছোটরা তো খেলতে পারেই, সময় কাটানোর জন্য চাইলে বড়রাও খেলতে পারে এই খেলা। এতে দেশ ও সমাজের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।