হরতালে যেসব সার্ভিস দেওয়া যায়

.
.

 হরতাল হোম সার্ভিস: হরতালের দিন এই সার্ভিস কার্যকর থাকবে। শহর ও গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে চাল-ডালের প্যাকেট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে হরতাল আহ্বানকারীরা। বিনা মূল্যের এই সার্ভিস জনগণের জন্য বলবৎ থাকবে হরতাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
 হরতাল ইনস্যুরেন্স: বিরোধী দল যা যা ভাঙতে পারে, তেমন সবকিছুর ইনস্যুরেন্স করা থাকলে এই কোম্পানি তার ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে। এটা পালাবদল সহকারে প্রধান ও অপ্রধান বিরোধী দলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবে।
 হরতাল নেটওয়ার্ক: আমজনতা আগেভাগেই এই কোম্পানির সিম কিনে রাখবে। হরতালের দিন অন্য কোম্পানির মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে। জনতা এই দিনে এই নেটওয়ার্কে কথা বলে বা না বলে হরতালের প্রতি সমর্থন জানাবে বা বিচ্ছিন্নতা প্রদর্শন করবে। এতে করে হরতালের সফলতা বা অসফলতার জরিপের কাজটাও সহজ হবে। মুখপাত্রের ঝামেলা কমবে।
 হরতাল মিউজিয়াম: পিকেটারদের ফেলে যাওয়া বোমা ও ককটেল বাদে অন্য সব, যেমন: ভাঙা লাঠি, ঢিল, ঝলসানো টায়ার, পুড়ে যাওয়া গাড়ির ভগ্নাংশ ইত্যাদি নিয়ে এই মিউজিয়ামে জমা দিলে আমজনতা পুরস্কার পাবে। আর এই টাকা সরবরাহ করবে রাজনীতিবিদেরা। শুধু তারাই এই ধ্বংসযজ্ঞশালা টিকিট কেটে বাধ্যতামূলকভাবে সপ্তাহে তিনবার পরিদর্শন করবে। আর তারা চাইলে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদেরও সঙ্গে নিতে পারবে।
 লক্ষ্মী চক্রবর্তী, নতুন উপশহর, যশোর