তিন বোর্ডের সাহসের অভাব

তুলি
তুলি

বাংলা সিনেমায় আমরা প্রায়ই দেখি, ভিলেন থাকেন একজন জমিদার। সেই জমিদারের এতই ক্ষমতা যে তাঁর ভয়ে বাঘ-মহিষ এক দোকানে বসে কোল্ড ড্রিংকস খায়। অনেক জমির মালিক বলেই তিনি জমিদার। কিন্তু তার পরও তিনি একের পর এক জমি দখল করতে থাকেন। জমিদারি হারানোর ভয়ে কাউকে মাথা তুলে দাঁড়াতেও দেন না। বাতিল করে দেন অন্যের সামাজিক স্ট্যাটাস।
তবে বাংলা সিনেমার এসব কাহিনি নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করেন। অথচ সিনেমার কাহিনি পুরোপুরি মিলে যায় বাস্তবের সঙ্গে। ক্রিকেটের কথাই ধরুন। ক্রিকেট বিশ্বের তিন ক্ষমতাবান জমিদার ক্রিকেট দল—ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সিনেমার ভিলেনের মতো জমিদারি আচরণ শুরু করেছে। তাদের প্রচুর টাকা আছে। কিন্তু আরও টাকার জন্য তারা অন্য দেশগুলোর টাকায় ভাগ বসাতে চাইছে। ক্রিকেটকে আরও ‘ভালো’ভাবে পরিচালনা করার জন্যই তাদের এই প্রস্তাব। প্রস্তাবটা এমন যে—ভালো খেলুক আর খারাপ খেলুক, এই তিন জমিদার সব সময় ক্ষমতায় থাকবে।
ক্রিকেটের এই তিন জমিদার বাতিল করতে চাইছে ছোট দলগুলোর টেস্ট স্ট্যাটাস। তার মধ্যে বাংলাদেশও আছে। তিন দলই বাংলাদেশের কাছে বিভিন্ন সময় ধরা খেয়েছে। অবস্থা এমন বাংলাদেশকে তারা নিজেদের দেশে আমন্ত্রণ জানাতেও সাহস পায় না বলেও প্রচলিত আছে। আর এখন তো বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। যে নিউজিল্যান্ডের কাছে ভারত টানা দুই ম্যাচ হারে, সেই নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়ে বাংলাওয়াশ করেছে কয়েক মাস আগে। সেই ভয় থেকেই হয়তো তিন জমিদার এমন কায়দা করতে চাইছে, যাতে বাংলাদেশের মতো দলগুলোর সঙ্গে তাদের খেলতে না হয়। জমিদারদের ক্ষমতা থাকে, সাহস থাকে না। তাই কর্তৃপক্ষের উচিত পাইকারি হারে তাদের জন্য কিছু সাহসের ব্যবস্থা করা। সাহস বাড়ানোর জন্য তিন জমিদার বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ দেওয়া এখন সময়ের দাবি। উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশে পাঠালে তাদের সাহস চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পাবে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।