নতুন লেখকদের অবশ্যপাঠ্য

বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন অনেক নতুন লেখক। তাঁদের জন্যই এ লেখা।

শিখা
শিখা

অটোগ্রাফ
অটোগ্রাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বই বিক্রি হবে, কিন্তু অটোগ্রাফ দেবেন না, তা হবে না। কেউ না চাইলেও জোর করে অটোগ্রাফ দিন। ‘বই নিয়েছিস তো অটোগ্রাফ নিতে হবে’ টাইপ আচরণের জন্য অবশ্য আপনাকে অটোগ্রাফ দেওয়া শিখতে হবে। নিজের নামটা একটু পেঁচিয়ে লিখুন, লেখা খারাপ হলে আরও বেশি করে প্যাঁচান। শুভেচ্ছা বাণী হিসেবে লিখে ফেলুন নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে ‘গরু রচনা’। একটু জটিল করে লিখবেন। তাহলে আপনার অটোগ্রাফের ওজন বাড়বে। তবে মেয়েদের ব্যাপারে একটু সাবধান, অটোগ্রাফ দেওয়ার নাম করে কোনোভাবেই প্রেমপত্র লেখা যাবে না। তা ছাড়া অটোগ্রাফে নিজের মোবাইল নম্বর লিখে দেওয়া থেকেও বিরত থাকুন।

শিখা
শিখা

ফটোগ্রাফ
সময় এখন কেবল অটোগ্রাফে আটকে নেই, ফটোগ্রাফও বেশ প্রয়োজনীয়। ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় সহজেই ক্যামেরাবন্দী করে ফেলতে পারেন নিজেকে। এ জন্য ভাড়া করুন একজন দক্ষ ফটোগ্রাফারকে। আজকাল কবির চেয়ে ফটোগ্রাফার বেশি। ফটোগ্রাফার না পেলে ছবি তুলে নিতে পারেন আপনার স্মার্টফোনে। খেয়াল রাখবেন, ছবিতে আপনাকে যাতে দেখতে গ্ল্যামারাস লাগে।

শিখা
শিখা

বিজ্ঞাপন

বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য অবশ্য বেশ কিছু কৌশল হাতে নিতে হবে। যার সঙ্গে দেখা হোক, যেখানেই দেখা হোক, যে বিষয়ে কথা হোক না কেন, কথা যেন ঘুরেফিরে আপনার বইয়ের ব্যাপারে আসে। ধরুন গরুর মাংসের ব্যাপারে আলোচনার একপর্যায়ে আপনি বললেন, ‘গরুর মাংস খুব ভালো খাবার, খুব সুস্বাদু, তবে এই গরুর মাংস নাকি হার্টের ক্ষতি করে। হার্ট বিষয়ে আমার একটি কবিতা আছে। কবিতাটি পাবেন আমার প্রথম বই হার্টের কথা বলিতে ব্যাকুল-এ।’

শিখা
শিখা

ফেসবুক
ফেসবুক হলো সব কাজের কাজি। ডিএসএলআর ক্যামেরা কিংবা স্মার্টফোন দিয়ে তোলা আপনার ছবিখানা এবার ফেসবুকে আপলোড করে দিন। ক্যাপশনে লিখুন, ‘ভক্তের পাল্লায়! ছবি না তুলে ছাড়লই না!’ এখানে খেয়াল রাখতে হবে, ভক্তকে আপনি ধরে রাখবেন না, ভক্ত আপনাকে ধরে রাখবে। তা না হলে আপনি জড়িয়ে ধরে রাখলে লোকে উল্টো আপনাকেই পাঠক ভেবে বসবে।

শিখা
শিখা

সাক্ষাৎকার 
দেশে লেখক-কবির চেয়ে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা বেশি। মেলায় ক্রেতা-পাঠকের চেয়ে টিভি রিপোর্টার বেশি। অতএব আপনি যেমন লেখকই হোন না কেন, আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবেই হবে। না দিতে চাইলে হাত-পা বেঁধে নেওয়া হবে। অতএব আপনাকে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। মেলায় যাওয়ার আগে অবশ্য আপনি মেনজ পারলার/বিউটি পারলার হয়ে তারপর যাবেন। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুশির সংবাদটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পুরো জাতিকে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।