ইনবক্সের ভাইয়াদের প্রকারভেদ

>

দুনিয়ায় ‘ভাইয়া’ আছে অনেক রকমের। তবে ফেসবুকের ইনবক্সের ভাইয়ারা আবার একটু অন্য ধাঁচের। নারীরাই মূলত এই ভাইয়াদের ভালো করে চেনেন। সেই ভাইয়াদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নানা ভাগে ভাগ করেছেন বোন সাফিয়া বিনতে আহমেদ

অধ্যবসায়ী ভাইয়া: যখনই অনলাইনে আসি তখনই এরা হাই-হ্যালো করতে শুরু করে; রিপ্লাই পাক আর না পাক। আমার মতে, এরা কঠোর পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী। এই অধ্যবসায় পড়ালেখায় লাগালে তারা জীবনে অনেক উন্নতি করত।

অভিমানী ভাইয়া: এরা হলো ‘হাই-হ্যালো’ ভাইয়াদের থেকে একটু ওপরে। এরা হাই-হ্যালো করে, রিপ্লাই না পেলে অভিমান করে। গাল ফুলিয়ে নাক লাল করে বলে, ‘ফেবুতে বন্ধু বানিয়েছ কেন, যদি কথাই না বলো!’

রাগী ভাইয়া: এরা আবার অভিমানীদের থেকে একটু ওপরে। এরা রিপ্লাই না পেলে রেগে যায়। রেগে গিয়ে বকাঝকা শুরু করে। যেমন ‘এত ভাব কিসের তোমার?’, ‘বাপ-মা ম্যানার শেখায় নাই?’ ইত্যাদি।

বড় ভাইয়া: এরা হলো কেয়ারিং। আপনি কোনো মন খারাপের স্ট্যাটাস দিলে এরা ইনবক্সে এসে জিজ্ঞেস করবে, ‘কী হয়েছে?’ আবার আপনি রাত জেগে অনলাইনে থাকলে দায়িত্ববান ভাইয়ের মতো বলবে, ‘রাত জেগে অনলাইনে কী করো?’, ‘পড়ালেখা নাই? ঘুমাও!’ এদের কেয়ার দেখলে আমার বড় ভাইয়ের অভাব ঘুচে যায়।

অসাধু ভাইয়া: এরা আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্টাপাল্টা কমেন্ট করে। তারপর ইনবক্সে এসে ‘সরি’ বলে ভাব জমানোর চেষ্টা করে।