১১ গুণ দামি ইভিএমের ১০ বৈশিষ্ট্য

>ভারতের চেয়ে ১১ গুণ বেশি দাম দিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কিনছে বাংলাদেশ। অবশ্যই এটা যেনতেন মেশিন নয়। এর মধ্যে ১১টি ইউনিক বৈশিষ্ট্য আছে বলেই হয়তো এটা ১১ গুণ বেশি দামি। (কাল্পনিক) বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আন্ নাসের নাবিল
আঁকা: সব্যসাচী চাকমা
আঁকা: সব্যসাচী চাকমা

১.
ভোটকেন্দ্রে মানুষ থাকে বেশি, তার ওপর নানা ধরনের চাপ। এই চাপে পড়ে যে কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। একজন ভোটার সুস্থ না অসুস্থ তা নির্ণয় করার জন্য পোর্টেবল মেডিকেল ক্যাম্প থাকছে এই ইভিএমে। ভোটার অসুস্থ হলে তাঁকে ভোট দেওয়ার মতো সুস্থ করে তোলার ব্যবস্থাও থাকবে এতে।

 ২.
এই ইভিএমে থাকছে আস্ত একটা লাই ডিটেক্টর সিস্টেম। ভোটার নিজ থেকে ভোট দিচ্ছেন নাকি চাপে পড়ে বা টাকা খেয়ে দিচ্ছেন তা বোঝা যাবে।

 ৩.
ভোট আসে পাঁচ বছর পরপর। এমন একটা অধিকার প্রয়োগ করবেন কিন্তু সেলফি, চেক–ইন, লাইভে যাওয়া যাবে না, সেটা কি আর হয় এই আধুনিক যুগে? নতুন ইভিএম আপনাকে সেসব সুযোগ করে দেবে। ভোট শেষে হাসিমুখের একটা সেলফির প্রিন্ট কপি ধরিয়ে দেবে আপনার হাতে।

 ৪.
আধুনিক ভবন, রাস্তাঘাট, অফিস, পার্ক যখন সিসিটিভির আওতায় থাকে, তখন ভোট কেন এর আওতার বাইরে থাকবে? এই ইভিএমে সিসিটিভিও থাকবে। ফলে নিরাপত্তায় যোগ হবে আলাদা মাত্রা।

 ৫.
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে যেতে পারে। ইভিএম নিয়ে দৌড় কিংবা বেশি ভোট দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন যে কেউ। সেসব থেকে বাঁচার জন্য বৈদ্যুতিক শক খুবই কার্যকরী হতে পারে। কেউ কেন্দ্র দখল করতে চাইলে এগারো শ ভোল্টের শক দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে এই ইভিএমে।

 ৬.
নির্বাচনের উত্তাপে শেষ মুহূর্তে ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো আপনি ভুলে যেতেই পারেন। এতে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না অবশ্যই। ভোটপ্রার্থীর প্রতিশ্রুতি বারবার বাজানোর ব্যবস্থা থাকছে এই ইভিএমে।

৭.
অনেক ভোটার ভোট দিতে যেতে চান না, তাঁদের ভোট দিতে উৎসাহিত করার জন্য নানা ধরনের ভাতার ব্যবস্থা থাকবে এই ইভিএমে। ভোট দেওয়া হলে ইভিএমের সঙ্গে সংযুক্ত ভেন্ডিং মেশিন থেকে আকর্ষণীয় উপহার বের হয়ে আসবে ভোটারদের জন্য।

 ৮.
ভোট শেষে আগে আঙুলে কালো দাগ দেওয়া হতো, যা সৌন্দর্যসচেতন যেকোনো মানুষের সৌন্দর্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াত। এ থেকে মুক্তি পেতে অভিনব এক ব্যবস্থা থাকবে এই ইভিএমে। সুন্দর একটি ওয়ান টাইম আংটি পরিয়ে দেওয়া হবে, যা প্রাকৃতিকভাবে এক সপ্তাহ পর খুলে পড়বে।

 ৯.
নির্বাচনের দিনে দেখা যায় এক ঘণ্টার মধ্যেই সব ভোট দেওয়া হয়ে যায়। কোন প্রার্থী কখন কেমন পজিশনে ছিলেন জানতেও পারে না কেউ। তাই শুরু থেকে ভোট কেমন হচ্ছে, কে কত পাচ্ছেন জানতে পারলে সব প্রার্থী স্বস্তিতে থাকতে পারবেন। তাই ইভিএমে রিয়েল টাইম ভোটের হিসাবপত্র থাকবে। সঙ্গে কোন প্রার্থী কত ভোট পাচ্ছেন তা প্রতিনিয়ত অনলাইনে আপডেট দেখার ব্যবস্থা থাকবে।

 ১০.
ভোটে কে জিতলেন না হারলেন তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই গুজব ওঠে। ভুল খবর পেয়ে অনেকেই বিজয় মিছিল করেন, পরে দেখা যায় তিনি হেরেছেন। এত এত মানুষের সামনে নির্বাচনে হারা, তারপর ভুল সংবাদে আনন্দ মিছিল করার মতো লজ্জাজনক পরিস্থিতি আর হয় না। তাই সবাইকে লজ্জা থেকে বাঁচাতে ভোট শেষে কোন প্রার্থী জিতেছেন তা ভোটারদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে পাঠাবে এই ইভিএম।