আম্পায়ারদের জন্য কিছু নতুন নিয়ম

ক্রিকেট আম্পায়াররা বারবার ভুল করছেন, বিশেষ করে ভুলগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার জন্য রস+আলো কিছু বুদ্ধি বাতলে দিচ্ছে। 

আকা: জুনায়েদ
আকা: জুনায়েদ

বলে লাল-নীল রং করে দেওয়া

বেশির ভাগ সময়ই এলবিডব্লিউর সময় বল প্যাডের কোথায় লাগে, সেটা নিয়ে আম্পায়াররা কনফিউজড থাকেন। এতে করে অনেক সময়ই ভুল ডিসিশনের খপ্পরে পড়ে ব্যাটসম্যান। বলে রং করে দিলে প্যাডের যেখানেই লাগুক না কেন, রং দেখে বোঝা যাবে বলটা ঠিক কোথায় লেগেছিল।

আকা: জুনায়েদ
আকা: জুনায়েদ

পাথরের ব্যাট-বল

অনেক সময় ব্যাটে বল না লাগলেও আম্পায়ার আঙুল তোলেন। এতে করে অনেক ভালো ব্যাটসম্যানও অহেতুক আউট হয়ে ফিরে যান। ব্যাটিং দল পড়ে মহাবিপদে। তাই এবার থেকে আম্পায়াররা নিয়ম করে দিতে পারেন—ব্যাটসম্যানরা পাথরের ব্যাট নিয়ে মাঠে নামবেন এবং বলও হবে পাথরের। এতে করে যদি ব্যাট ও বলের মধ্যে একটুও ছোঁয়া লাগে, তাহলে মুহূর্তেই আগুনের ফুলকি দেখা দেবে। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিতেও বেগ পেতে হবে না। 

আকা: জুনায়েদ
আকা: জুনায়েদ

ইনফ্রারেড চুলকানি
ব্যাটসম্যানের কোমরের ওপরে বল করা হলেও অনেক সময়ই আম্পায়াররা ভুল সিদ্ধান্ত নেন। একটা ইনফ্রারেড চুলকানি সিস্টেম আম্পায়ারের শরীরের সঙ্গে সেট করে দিলে বল ব্যাটসম্যানের যে উচ্চতায় উঠবে সে উচ্চতা বরাবর আম্পায়ারের শরীরেও চুলকানি শুরু হবে।

আকা: জুনায়েদ
আকা: জুনায়েদ

স্লো মোশন সিস্টেম
অনেক সময় রান আউটের বেলায় থার্ড আম্পায়াররাও ভুল আউট দিয়ে ফেলেন। এ জন্য আম্পায়ারদের কাছে একটা স্লো মোশন রিমোট কন্ট্রোলার থাকা উচিত। এতে করে আবেদন হলে সঙ্গে সঙ্গে রিমোট চেপে সবকিছু স্লো করে দেবেন আম্পায়াররা। দৌড়ে গিয়ে ব্যাটসম্যানের একেবারে কাছাকাছি গিয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রয়োজনে হাত বা ফিতা দিয়ে মাপামাপিও করতে পারেন।

আকা: জুনায়েদ
আকা: জুনায়েদ

রেডিয়ামের বল
অনেক সময় মাঠে আলো কমে যাওয়ার কারণে বা হঠাৎ করে ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাটসম্যানদের বল দেখতে অসুবিধা হয়। তখন আলো নিয়ে তুমুল হইচই হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এত কিছু না ভেবে আম্পায়াররা চাইলে ওই সময় বলের ওপরে রেডিয়ামের একটা প্রলেপ লাগিয়ে দিতে পারেন। কিংবা ছোট এলইডি বাল্ব ফিট করে দিলে ঘুটঘুটে অন্ধকারেও দিব্যি বল দেখা যাবে।