রস+চিঠি ১২৭

প্রিয় ,
এত কষ্ট করে ভাতির আয়োজন করলাম, অথচ তুই এলি না। মতো সারা রাত জেগে দিনভর ঘুমালে আসবি কীভাবে? সারা রাত ফোনে বক করিস, আর দিনে কোথাও যেতে বললে বলিস রোদে ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে। নিজেকে কি মল্লিক ভাবিস? তোর জন্য কোনো চাপা ছেলে র গ্যাস খেয়েও কাঁদবে না। ক্ষমতা থাকলে তোকে চত্বরে দশ পাক ঘোরাতাম। যাই হোক, আয়োজনটা ছিল মতিতে। - র রোস্টের সঙ্গে বিশেষ আইটেম হিসেবে ছিল রোল ভাজি। বন্দ থেকে আসা এক কণ্ঠী শিল্পী তোর চেয়েও ভালো গান গেয়েছে। এবার তোর অহংকারের পাঁ ভেঙে চুরচুর হয়ে যাবে। পরবর্তী অনুষ্ঠানগুলোতে তুই না এলেও সমস্যা হবে না।
ইতি তোর বন্ধু

প্রিয় পাঠক, সঠিক জায়গায় সঠিক নামটি লিখে চিঠিটি সম্পূর্ণ করুন। তারপর পাঠিয়েদিন আমাদের ঠিকানায়।
তিনজন সঠিক উত্তরদাতার প্রত্যেককে দেওয়া হবে ৩০০ টাকার মুঠোফোন রিচার্জ। তাই উত্তরের সঙ্গে পাঠিয়ে দিন আপনার মুঠোফোন নম্বর। পাঠানোর শেষ তারিখ ২০ মার্চ। খামের ওপর লিখতে হবে:
রসচিঠি-১২৭, রস+আলো,
প্রথম আলো, সিএ ভবন
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার,
ঢাকা-১২১৫।

রসচিঠি-১২৬: উত্তর
প্রিয় হাবীবা,
তুমি ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জে বসাবস করো। আমি থাকি সুদূর ঠাকুরগাঁওয়ের ছোট্ট একটি গ্রামে। তাই হয়তো তোমার বাবা ভাবছেন, আমার মধ্যে সুকুমারবৃত্তির ঘাটতি আছে। কিন্তু তিনি জানেন না, আমি তিনটি সাহিত্য পত্রিকার স্থায়ী গ্রাহক। তা ছাড়া আমি সব সময় বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সর্বোচ্চ মার্কস পেতাম। সাদা শার্ট-প্যান্ট পরলে আমাকে ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো লাগে—এমন কথা গ্রামের অনেকেই বলে। তাই আমাকে বাংলা সংস্কৃতির ধারক-বাহকদের একজন বললে ভুল হবে না। আমি জানি, তুমিও অত্যন্ত গুণবতী। আশা করি, এসব কথা তোমাকে পুনরায় বলতে হবে না। এখন তুমি বিয়েতে রাজি থাকলে শরৎকালেই কাজির অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেব।
পুনশ্চ: আহমেদাবাদ থেকে তোমার জন্য একটা পশমি শাল ক্রয় করেছি।
ইতি তোমার হবু স্বামী তাজুল
রসচিঠি-১২৬: বিজয়ী
সোহানা সাহা, বাংলাবাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা
এহসানুল হক, সূর্যসেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তুহিন, সাঁথিয়া, পাবনা