আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

প্রচ্ছদ: তুলি
প্রচ্ছদ: তুলি

এক দিন আগেই শেষ হয়ে গেল এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। কোনো ম্যাচেই বিজয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ দল—এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। অথচ প্রতিটি ম্যাচেই কিন্তু বিজয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। কারণ, বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় প্রতিটি ম্যাচেই খেলেছেন। অতএব, এশিয়া কাপে বাংলাদেশ বিজয়ের মুখ দেখেনি—এ ধরনের কথা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এশিয়া কাপের রেশ না কাটতেই শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অনেকেই ভাবছেন, যারা এশিয়া কাপ জিততে পারে না, তারা কীভাবে বিশ্বকাপ জিতবে? তাঁদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অনেক দলই কখনো এশিয়া কাপ জেতেনি। যেমন: ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই, ঘুড়ি উড়িয়ে দেওয়া গেলেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে টি-টোয়েন্টির মূল ব্যাপার হচ্ছে, বিপক্ষ দলকে রান দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি আয়োজকদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। বিপক্ষ দলের খাদ্যতালিকায় হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদির রান কোনোভাবেই রাখা যাবে না। একইভাবে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের খাদ্যতালিকায় প্রচুর রান রাখতে হবে, যাতে হাঁস-মুরগির রান দেখে তাঁরা খেলার মাঠে আরও রান করতে উদ্বুদ্ধ হন।
ধারাভাষ্যকারেরা সব সময় বলেন, জয়ের জন্য দরকার একটা ভালো সূচনা। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা হয়তো ধারাভাষ্যকারদের এই কথা শুনেই মাঠে নেমে যান। পরের কথাগুলো আর শোনা হয় না। তাই তাঁদের শুরুটা খুব ভালো হয়, কিন্তু বহু চেষ্টা করেও ভালো হয় না শেষটা। এ বিষয়টির প্রতিও কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। আশা করি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য শুভ হবে। তা ছাড়া দলে শামসুর রহমান শুভ তো আছেনই!