আসলে যা হয়েছিল

আসলে কী হয়েছিল সোনালী ব্যাংকের আদমদীঘি ব্র্যাঞ্চে? গবেষণা করে দেখেছে রস+আলো।

.
.

আসলে ওরা স্বেচ্ছাসেবক কর্মী হিসেবে ব্যাংকের নিচে অবস্থিত স্যুয়ারেজ লাইনের পাইপ পরিষ্কার করতে গিয়ে ভুলবশত ব্যাংকের ভল্টই পরিষ্কার করে ফেলে। তবে এটা পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি ছিল বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রকাশ্যে ব্যাংকের টাকা লুট করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট মানুষকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হবে। এটা ভেবেই মূলত তারা নিভৃতে, চুপিসারে চুরিটা করে। কারণ, চোরেরা এটা বিশ্বাস করে যে ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া দুটোই আইনের চোখে সমান অপরাধ।
আসলে ওরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে এসেছিল। কিন্তু ব্যাংক তখন বন্ধ থাকায় সুড়ঙ্গপথেই তাদের ঋণ নেওয়ার রাস্তা তৈরি করতে হয়েছিল। এই ঋণের টাকা তারা শিগগিরই পরিশোধ করে দিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অযথাই মাঝখান দিয়ে একটা বাগড়া দিল।
ওরা হলিউডের ছবিগুলোতে চুরির অভিনব কায়দা-কানুন দেখে এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছিল যে নিজেরাই দেশের মাটিতে ঘরোয়া পরিবেশে সুড়ঙ্গপথে হলিউডি কায়দায় একটা শর্ট ফিল্ম বানানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে শর্ট ফিল্মটা রিলিজ হওয়ার আগেই সেন্সর বোর্ড আটকে দিল!