বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি

বাড়লে বিদ্যুতের দাম, বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়। বাড়বে বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমাগতই কমছে, তখন বাংলাদেশে বিদ্যুতের মূল্য বাড়াতে চলছে গণশুনানি।
দেশে যখন ২০-দলীয় জোটের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে, তখন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে জনরোষ আরও তীব্র হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
আধুনিক সভ্যতার যুগে বিদ্যুৎ একটি অতি জরুরি উপাদান। বর্তমানে বিদ্যুৎ ব্যতীত কিছুই আশা করা যায় না। বিদ্যুৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান। উৎপাদনের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের সঙ্গে মানুষের অনেক কিছুই জড়িত। তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই সব জিনিসের মূল্যও বৃদ্ধি পাবে। জনগণের কষ্ট বাড়বে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে।
অথচ স্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বিদ্যুতের দামও কমার কথা। কারণ, বিদ্যুতের জ্বালানি হিসেবে ডিজেলই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমায় ভারতে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমানো হয়েছে। আমাদের দেশে সেটা তো করাই হয়নি, উল্টো এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। এটা মোটেও ঠিক নয়।
নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ।