নির্বাচনে কারচুপি ঠেকানোর উপায়

শেষ হলো উপজেলা নির্বাচন। কিন্তু এ নির্বাচন ছিল কারচুপিময়। সময় এসেছে কারচুপি ঠেকানোর। ভবিষ্যতে কারচুপিহীন নির্বাচন করার কিছু বুদ্ধি বাতলে দিচ্ছে রস+আলো।

আকা: শিখা
আকা: শিখা

ব্যালট বাক্সের বদলে সিন্দুক
ভোট কারচুপির অন্যতম অংশ হলো ব্যালট বাক্স ছিনতাই। ভোটের দিন নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড়াদৌড়ি। তাই প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সের বদলে রাখা যেতে পারে সিন্দুক। কারণ, সিন্দুক নিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। সিন্দুক বসানো খরচসাপেক্ষ হলেও নির্বাচনে কারচুপি রোধে এর বিকল্প কমই পাওয়া যাবে।

আকা: শিখা
আকা: শিখা

ভোট গ্রহণ হোক লাইকের মাধ্যমে
ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি পুরোনো হয়ে গেছে। তাই এখন থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে ভোট নেওয়া শুরু করা যায়। প্রত্যেক ভোটারের থাকবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধনকৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। ভোটার তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে দেবেন লাইক। স্বাভাবিকভাবে সর্বাধিক লাইক পাওয়া প্রার্থী হবেন বিজয়ী। আর সবাই ফেসবুকে সতর্ক থাকলেই ফেক অ্যাকাউন্টের লাইক পড়ারও কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। ফলে নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ কারচুপিমুক্ত।

ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট গ্রহণ
অনেক ভোটার আজকাল কেন্দ্রে যান না। কিন্তু তাঁদের ভোট ঠিকই দিয়ে যায় কেউ না কেউ! এই অবস্থা রোধে নির্বাচন কমিশন নিতে পারে নতুন পদক্ষেপ। কোনো নির্দিষ্ট স্থানে ভোটকেন্দ্র না করে প্রত্যেক ভোটারের বাসস্থানে গিয়ে ভোট সংগ্রহ করা যায়। ফলে একজনের ভোট আরেকজন এসে দিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় থাকবে না। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন শেষ হতে সময় লাগলেও নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের।

আকা: শিখা
আকা: শিখা