রস+আলোর ৩০০তম সংখ্যা

প্রচ্ছদ: মেহেদী হক
প্রচ্ছদ: মেহেদী হক

বাংলাদেশে রম্য ম্যাগাজিনের সংখ্যা খুব বেশি না। অল্পসংখ্যক রম্য ম্যাগাজিনের মধ্যে রস+আলোর নামটা বলাই যায়। তবে রস+আলো আসলেই রম্য ম্যাগাজিন কি না এ নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ থাকতে পারে। অনেক সন্দেহপ্রবণ প্রশ্নও তুলতে পারেন—‘রস+আলো যে আসলেই ৩০০টি সংখ্যা প্রকাশ করেছে তার প্রমাণ কী? রস+আলোর কোনো সার্টিফিকেট কি আছে? আন্তর্জাতিক কোনো ব্যক্তি বা মহল কি রস+আলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে?’ ইত্যাদি। সন্দেহপ্রবণতা খারাপ কিছু নয়। শার্লক হোমস, ফেলুদারাও সন্দেহপ্রবণ ছিলেন। আজ শার্লক, ফেলুদা নেই, কিন্তু সন্দেহপ্রবণতা ঠিকই আছে। যা-ই হোক, রস+আলো এবার ৩০০তম সংখ্যা প্রকাশ করল। এর আগের সংখ্যাটি ছিল ২৯৯তম, তার আগেরটা ২৯৮তম, তার আগেরটা...থাক, বাকিটা বুদ্ধিমান পাঠক বুঝে নেবেন।
রস+আলোর ৩০০তম সংখ্যা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক কোনো বাণী দেননি। এতেই বোঝা যায়, জাতীয় জীবনে রস+আলোর কোনো গুরুত্বই নেই। তবে একেবারেই যে গুরুত্ব নেই, তাও না। এ পর্যন্ত প্রকাশ হওয়া ৩০০ সংখ্যা দেশের ঝালমুড়ি বিক্রেতাদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রেতারা ঝালমুড়ির ঠোঙা হিসেবে রস+আলোর পাতাগুলো খুব পছন্দ করেন। কোনো কারণে ২৪ পৃষ্ঠার বদলে ১৬ পৃষ্ঠা প্রকাশিত হলে তাঁরা অত্যন্ত ব্যথিত হন। তাই বলা যায়, রস+আলোর ৩০০টি সংখ্যা তাঁদের বড় উপকারে এসেছে। আর তাঁদের উপকারে আসতে পেরে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত, গর্বিত। অনেক কিছু নিয়ে সন্দেহ থাকলেও রস+আলো যে এভাবেই মানুষের সেবা করে যেতে চায়, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ৩০০তম সংখ্যা উপলক্ষে সবাইকে ৩০০ ধন্যবাদ।