পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়

.
.

অনেকেই বলেন, থ্রিলার-সাহিত্যে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। পাঠকদের রোমাঞ্চের স্বাদ দেওয়ার মতো গোয়েন্দা-কাহিনিও লিখছেন না কেউ। কিন্তু একটা কথা কারও মাথায়ই আসে না, তা হলো, বাংলাদেশে বসবাস করাই তো একটা বিশাল থ্রিলিং বা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। এখানে পাঠকদের রোমাঞ্চের স্বাদ দিতে আলাদা সাহিত্য রচনার দরকার কী? প্রতিটি দিনই তো নানা ধরনের রোমাঞ্চের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। অফিস টাইমে বাসে ওঠা, বাজারে খাঁটি খাবার খোঁজা—সবই তো থ্রিলিং! তার ওপর যেকোনো সময় আপনার ওপর একটা আস্ত ভবন ধসে পড়তে পারে। বাজার থেকে মিষ্টিকুমড়া আর বাচ্চা মুরগি কিনে বাড়ি ফিরছেন, একটা মাইক্রোবাস এসে থামল আপনার সামনে। মিষ্টিকুমড়া আর বাচ্চা মুরগি রাস্তায় পড়ে রইল, আপনাকে ধরে নিয়ে গেল অপহরণকারীরা।
টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানের মাঝে বিজ্ঞাপন যেমন নিয়মিত, এ ধরনের ‘রোমাঞ্চকর’ ব্যাপারগুলোও এখন তেমনই নিয়মিত হয়ে গেছে। গত চার বছরে অপহূত হয়েছেন ২৬৮ জন, এর মধ্যে ১৮৭ জনের কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত! কে জানে, হয়তো এভাবে গুম হয়ে যাওয়ার ভয়েই বাংলাদেশে আসেন না ডিসকভারি চ্যানেলের অভিযাত্রী বেয়ার গ্রিলস! তবে এসব অপহরণ আর গুমের ঘটনাই প্রমাণ করে, মানুষ এখন আর বই পড়ে না। মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা, শার্লক হোমসের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা-কাহিনিগুলোতে প্রায়ই দেখা যায় অপহরণের কেসে পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। শেষে নানা বুদ্ধি খাটিয়ে ঠিকই কেস সমাধান করে ফেলেন প্রাইভেট গোয়েন্দারা। সেসব কাহিনি সবাই যদি পড়েই থাকে, তাহলে স্বপ্রণোদিত হয়ে কেউ গুম-রহস্যের সমাধান করছে না কেন? তাই কর্তৃপক্ষের উচিত সবাইকে বেশি করে গোয়েন্দা-কাহিনি পড়তে কিংবা গোয়েন্দা-কাহিনিনির্ভর চলচ্চিত্র দেখতে উদ্বুদ্ধ করা।
পুনশ্চ: মালয়েশিয়ার বিমানের মতো লেখাটার বেশ কিছু অংশ শেষ মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধান চলছে...