কর্তৃপক্ষ ভাবছে কী?

প্রচ্ছদ: জুনায়েদ আজীম চৌধুরী
প্রচ্ছদ: জুনায়েদ আজীম চৌধুরী

দেশে এখন প্রচণ্ড গরম। প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে নানা সুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে জনসাধারণ। যেমন সকালে বানানো শিঙাড়া বিকেলেও একই রকম গরম থাকছে। বার্গার বা স্যান্ডউইচও আলাদাভাবে ওভেনে গরম করতে হচ্ছে না। গাছের কাঁঠালও আলাদাভাবে কিলিয়ে পাকানোর প্রয়োজন নেই, হাতের স্পর্শ ছাড়া গরমেই অটো পেকে যাচ্ছে। এমনকি মুরগির ডিমও আলাদাভাবে সেদ্ধ করার দরকার হচ্ছে না। গরমে মানুষই সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে আর এ তো সামান্য মুরগির ডিম!
কিন্তু এত গরমের পরেও বৃষ্টি হচ্ছে না কেন? এর উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব আবহাওয়া অফিসের। তবে আমাদের ধারণা, বৃষ্টি না হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ছাতা। ‘মারফিস ল’-এর কিছু আইন প্রচলিত আছে। যেমন আপনি যদি ছাতা নিয়ে বের হন, তাহলে বৃষ্টি হবে না। আবার, বৃষ্টি হবে না ভেবে আপনি ছাতা নিলেন না। ব্যস, শুরু হলো ঝুমবৃষ্টি। কে জানে, হয়তো আমাদের দেশেও তা-ই ঘটছে। প্রচণ্ড তাপ থেকে বাঁচতে অসংখ্য মানুষ ছাতা নিয়ে বের হচ্ছে। ফলে মারফিস ল অনুযায়ী বৃষ্টিও হচ্ছে না।
অথচ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নিয়ে একেবারেই উদাসীন। কোনো ভূমিকাই পালন করছে না তারা। তবে, কর্তৃপক্ষ দেশের আইনই ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে না আর এটা তো ‘মারফিস ল’। যা-ই হোক, বৃষ্টি নামানোর জন্য আমাদের তো করার কিছু নেই। বৃষ্টি তো এইচডি প্রিন্টের মুভি না যে ডাউনলোড দিলাম আর নেমে গেল। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ছাতা ছাড়া বের হলে দয়া করে যদি বৃষ্টি নামে! আর না হলে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। এতে এখন বৃষ্টি না হলেও ভবিষ্যতে হবে। অতএব, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আপনার ওপর। দেখেছেন, আপনি কত গুরুত্বপূর্ণ! আপনাকে তরমুজের শুভেচ্ছা!