লোডশেডিং ভালো...

যে কারণে লোডশেডিং ভালো

.
.

 লোডশেডিং যদি দেশ থেকে অতীত হয়ে যায়, তাহলে সেটিকে পাঠাতে হবে জাদুঘরে। সে ক্ষেত্রে যে সমস্যাটা হবে, তা হলো, আমরা জাদুঘরে গিয়ে লোডশেডিংয়ের জন্য কিছুই দেখতে পারব না। ফলে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে তৈরি হবে বিশাল অজ্ঞতা। এই সর্বজনীন জাতীয় অজ্ঞতার হাত থেকে বাঁচতে হলে লোডশেডিংকে অবশ্যই জাদুঘরে পাঠানো যাবে না।
 কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন রোধে আইন করা হলেও মারধরের মাত্রা খুব একটা কমেনি। আইন, লেখালেখি, আন্দোলন মিলে যা করতে পারেনি লোডশেডিং একাই তা করতে পারে। উদাহরণ দিই, তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। স্যার বেত হাতে চোখ লাল করে বললেন, ‘এই শান্ত, তুই হোমওয়ার্ক করে আনিসনি কেন? আজ তুই শেষ।’
শান্ত খুব শান্ত গলায় জবাব দিল, ‘স্যার, গতকাল লোডশেডিং ছিল।’
স্যার বেতটা নামিয়ে নিলেন, ‘তা সেটা আগে বলবি না! এই নে চকলেট খা। আহারে, গরমে কী কষ্টটাই না হয়েছে তোর!’

যে কারণে লোডশেডিং
কে না জানে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম খুব জরুরি। সারা দিনের কায়িক পরিশ্রমের মাঝে বেচারা বিদ্যুৎ তো একটু বিশ্রাম চাইতেই পারে। তাকে এই বিশ্রাম না দিলে আন্তর্জাতিক শ্রম আইনও লঙ্ঘিত হতে পারে। সরকার আসলে মে দিবসের চেতনায় ‘চেতিত’ হয়ে লোডশেডিংকে নিয়োজিত রাখতে চায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিদ্যুৎকে অবসর দেওয়ার জন্যই।