নিরাপত্তার চাদর রপ্তানিতে পিছিয়ে দেশ

প্রচ্ছদ: তুলি
প্রচ্ছদ: তুলি

বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। ঋতুগুলো হলো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। তবে এখন ছয়টি ঋতুর মধ্যে কেবল গ্রীষ্ম, শীত ও কিঞ্চিৎ বর্ষার উপস্থিতি টের পাওয়া যায় প্রকৃতিতে। আশার কথা হলো, এদের মধ্যে স্থান করে নিচ্ছে নতুন আরেকটি ঋতু—গুম। প্রকৃতিবিদদের বিশ্বাস, অচিরেই বাংলার প্রকৃতিতে গুম একটি স্বতন্ত্র ঋতু হিসেবে ঠাঁই করে নেবে। বর্তমান সময়ের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণেই নতুন এ ঋতুর আগমন বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বাগত গুম ঋতু।
গুম ঋতু যখন আসছেই, তখন এ সময়ে বিভিন্ন মৌসুমি রোগ-বালাই ও উপসর্গের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। কারণ, এই ঋতুতে দেশের মানুষ এখনো অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গুমের মৌসুমে নিরাপত্তার চাদরই পারে সবাইকে নিরাপদ রাখতে। কিন্তু এদিকে বাংলা আবহমানকালের অন্যতম হস্তশিল্প নিরাপত্তার চাদরের অবস্থা আছে আগের মতোই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই কুটিরশিল্পে কোনো বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না।
কিন্তু এত অবহেলার পরও থেমে নেই নিরাপত্তার চাদরের কারিগরেরা। নিরলস পরিশ্রম ও কোনোরকম লাভের আশা ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী এ পেশাটিকে আঁকড়ে ধরে আছেন তাঁরা। ফলে দেশে এখনো নিরাপত্তার চাদরের উৎপাদন অব্যাহত আছে। অথচ বাজেটে এই শিল্পের জন্য সামান্যতম বরাদ্দ থাকলেও সার্বিক চিত্র হতো একেবারেই অন্য রকম। নিরাপত্তার চাদর রপ্তানি করে আয় করা যেত অজস্র বৈদেশিক মুদ্রা। আশা করি, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ভাববে।