প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে আরও কিছু সুপারিশ

আকা: জুনায়েদ
আকা: জুনায়েদ

পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস যেন আজকাল ডালভাত হয়ে গেছে! ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। তাই ভবিষ্যতে বোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে পরীক্ষার দিন সকালে বিশেষ ব্যবস্থায় কেন্দ্র বা স্থানীয় পর্যায় থেকে প্রশ্নপত্র ছাপানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করতে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি। (সূত্র: প্রথম আলো, ২৩ মে ২০১৪) তদন্ত কমিটির পাশাপাশি রস+আলোর পক্ষ থেকেও কয়েকটি সুপারিশ পেশ করা হলো।
স্পিকার-পদ্ধতি
পরীক্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই একজন শিক্ষক সারা বাংলাদেশের জন্য প্রশ্নপত্র পাঠ করবেন, সেটা শুনে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নগুলো লিখে নেবে। এর জন্য দেওয়া হবে ৩০ মিনিট। বাকি তিন ঘণ্টা থাকবে পরীক্ষার জন্য।
স্যার, একটা প্রশ্ন অর্ধেক শোনার পরই তো কারেন্ট গেলোগা, আমরা এখন কী করুম?
তোমাগো আর পরীক্ষা দেওয়া লাগব না, তোমরা সবাই এ প্লাস, যাও বাসায় গিয়া মিষ্টি বিলাও!

আকা: জুনায়েদ
আকা: জুনায়েদ

গোপন লেখা-পদ্ধতি
পরীক্ষাকেন্দ্রে সব শিক্ষার্থীকে একটা সাদা প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। সঙ্গে একটা করে ম্যাচ। ম্যাচ জ্বালিয়ে সাদা প্রশ্নপত্রের নিচে হালকা করে ধরলেই সেটাতে প্রশ্ন ফুটে উঠবে।
কী ব্যাপার, তুমি উত্তরপত্রে আগুন জ্বালায় দিলা ক্যান!
স্যার, ভাবলাম কাগজটা গরম করলে যদি প্রশ্ন দেখা যায় তাইলে খাতা গরম করলে উত্তরও নিশ্চয়ই দেখা যাবে! একটু বেশি গরম করতে গিয়াই এই অবস্থা!
উপহার-পদ্ধতি
পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের টি-শার্ট, মগ, ক্যাপ ইত্যাদি উপহার দেওয়া যেতে পারে। এগুলোতে প্রশ্ন প্রিন্ট করা থাকবে। কাকে কী উপহার দেওয়া হবে, সেটা আগে থেকে জানানো হবে না।
স্যার, আমারে জগ দেন, আমার কিছুক্ষণ পরপর পানির পিপাসা লাগে।

আকা: জুনায়েদ
আকা: জুনায়েদ

বেলুন-পদ্ধতি
প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটা করে বেলুন দেওয়া হবে, সবাই সেগুলো ফোলাবে। বেলুন বড় হলেই সেটার গায়ে প্রিন্ট করা প্রশ্নপত্র ফুটে উঠবে।
উত্তরটা বলবি নাকি তোর বেলুন ফুটা কইরা দিমু?
দেয়াল লিখন-পদ্ধতি
প্রতিটি স্কুলে একজন করে বিশেষ শিক্ষক যাবেন, তিনি ক্লাসরুমের দেয়ালে বা ব্ল্যাকবোর্ডে প্রশ্ন লিখে দেবেন। তার লেখা শেষ হলেই পরীক্ষার সময় শুরু হবে।
স্যার, আপনি সাদা দেয়ালে সাদা চক দিয়া কী লিখছেন কিছুই তো বুঝতেছি না!
আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করি, এত কথা
না বইলা তুমি পরীক্ষা দাও।