বলের সঙ্গে বসবাস

.
.

আমরা খেয়াল করে দেখলাম, শুধু বিশ্বকাপের সময়ই নয়, বরং সারা বছরই আমাদের বসবাস বলের সঙ্গে।
আমাদের প্রবাদবাক্যে বল—একতাই ‘বল’
: ‘একতাই বল’—এইটা সবাই জানে। তবু আমরা একতাবদ্ধ থাকি না কেন?
: কে বলছে একতাবদ্ধ থাকি না? পুলিশে দৌড়ানি দিলে আমরা কি একযোগে উল্টা দিকে দৌড় দিই না?
আমাদের কবিতায় বল—আমরা শক্তি আমরা ‘বল’
: আমরা শক্তি আমরা বল—এর পরের লাইনটা কী, বল তো?
: দেখ, আমি লীগ করি। আমি ছাত্রদলের নাম মুখে নিতে চাই না।
আমাদের গানে বল—‘বল’ তুই আমায় ছেড়ে কোথায় যাবি...
: আমাকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারবি না। তুই যেখানে যাবি, আমিও সেখানেই যাব। বল তুই কোথায় যাবি?

: আমি কারওয়ান বাজারে গুঁড়া মাছ কিনতে যাব।
: তাইলে যাচ্ছি না। মাছবাজারে প্রচুর ঠেলাঠেলি।

.
.

আমাদের লেখালেখির উপকরণে বল—‘বল’পেন
: বুঝলি নাতি, আগেকার দিনের মানুষ কিন্তু বলপেন দিয়া লিখত না। লিখত দোয়াতের কালি দিয়া।
: দোয়াতের কালির লিংক আছে? দাও তো দেখি।

.
.

আমাদের শীত নিবারণের উপকরণে বল—কম‘বল’, মানে কম্বল
: গরমের দিনে কম্বলের নাম শুনলেই কেমন জানি গরম গরম লাগে।
: তাইলে দাঁড়ান কম্বলের নাম উচ্চারণ
করার আগে এসিটা ছাইড়া দিই।
অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা ধনী দেশের তুলনায় যা, সেখানেও বল, মানে দুর্বল
: আমাদের দুর্বলতা কাটানোর কি কোনো উপায় নেই?
: ফাস্টফুড খেয়ে দুর্বলের কাছে পৌঁছাতে হবে, তাহলে দূর-বল হয়ে উঠবে কাছ-বল।