শাকিব খান বললেন, 'স্কুলে সব সময় মেয়েদের কাছে নাম্বার ওয়ান ছিলাম'

‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’—এখনকার বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা। শাকিব খান অনেক কিছুই খান, এবার খেলেন রস+আলো পরিবেশিত লাল চা।

ক্যারিকেচার: মেহেদী হক
ক্যারিকেচার: মেহেদী হক

রস+আলো: আপনার আসল নাম তো মাসুদ রানা। বিসিআইয়ের দুর্ধর্ষ স্পাই মাসুদ রানাই কি শাকিব খানের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?
শাকিব খান: আমার মা-বাবা হয়তো মাসুদ রানা চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই নামটা রেখেছিলেন। বাস্তবে এখন দেখা যাচ্ছে স্পাই মাসুদ রানার মতো আমাকেও প্রতিনিয়ত অনেক রূপ ধারণ করতে হয়। আসলেই আমি ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। পরতে পরতে আমার রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে। আমি কখনো প্রেমিক, কখনো অ্যাংরি বয়, এটা-সেটা অনেক কিছু। প্রতি মুহূর্তে আমার জীবনে নতুন নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে স্পাই মাসুদ রানার মতো।
র.আ.: ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, তাহলে ঘর বাঁধতে কী লাগে?
শা.খা.: শুধু ভালোবাসলেই তো ঘর বাঁধা যায় না। এর জন্য দরকার ইট, সুরকি, সিমেন্ট ও দড়ি।
র.আ.: বন্ধু কখন শত্রু হয়?
শা.খা.: ফেসবুক স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট না দিলে হয়, আবার দিলেও হয়।
র.আ.: অধিকাংশ সিনেমাতেই বৃষ্টিভেজা গান থাকে কেন?
শা.খা.: মজার বিষয় হলো অধিকাংশ বৃষ্টিভেজা গানের শুটিং হয় শীতের দিনে! পরিচালক হয়তো ভাবেন গল্প আমার, পরিচালনা আমার অথচ নায়ক-নায়িকা এসে মজা করবে, তা তো হবে না, দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!
র.আ.: স্কুলে যে স্যারের হাতে প্রচুর মার খেয়েছেন, তাঁর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হলে কী করবেন?
শা.খা.: স্যারের হাতে মার তেমন একটা খাইনি। তবে একজন স্যার ছিলেন, এমনিতেই মারতেন। তাঁর পার্সোনালিটিই ছিল ভয়ংকর। তাঁর ভয়ে সবাই গুটিসুটি মেরে থাকতাম। ক্লাস শুরু হলেই ‘ওই স্যার আসে, স্যার আসে’ বলে চুপ মেরে যেতাম। মহল্লায় আড্ডা দেওয়ার সময়ও তাঁকে দেখলে একই অবস্থা হতো। এখনো হয়তো একই অবস্থা হবে।
র.আ.: যদি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয় যে এত দিন আপনি যত ভিলেনকে মারধর করেছেন, সবাই আপনাকে মারার সুযোগ পাবেন, তখন কী করবেন?
শা.খা.: বিজ্ঞপ্তি দেওয়ামাত্র দেশ ত্যাগ করব। আর যা-ই হোক, ভিলেনদের হাতে প্রাণ খোয়াতে চাই না। এত দিন তো আলাদাভাবে প্রত্যেককে মেরেছি, ফলে সবাই মিলে আমাকে মারতে এলে ভর্তা বানিয়ে ফেলবে!
র.আ.: ফুটবল দলে সুযোগ পেলে কোন পজিশনে খেলবেন?
শা.খা.: স্ট্রাইকার পজিশনে খেলার ইচ্ছা আছে। আর না হলে সাইড বেঞ্চে।
র.আ.: আপনি তো এখন ‘নাম্বার ওয়ান’, স্কুলেও কি নাম্বার ওয়ানই ছিলেন?
শা.খা.: ছিলাম, স্কুলে সব সময় মেয়েদের কাছে ‘নাম্বার ওয়ান’ ছিলাম।
র.আ.: নায়িকাকে বাঁচাতে একজন আদর্শ নায়কের সর্বোচ্চ কত মিনিট সময় ব্যয় করা উচিত?
শা.খা.: কত মিনিট বলছেন! তিন-চার দিন তো লেগেই যায়। আর আদর্শ নায়কের বেলায় সাত-আট দিনও লাগতে পারে। কাজটা অনেক ভারি তো! শুটিং তো আর বললেই শেষ হয় না।
র.আ.: বিয়ে করার পর আপনিও কি সখী-সখাসহ নাচ-গান করবেন?
শা.খা.: পাগল নাকি! বাসায় থাকা যাবে!
র.আ.: ‘পাওয়ার পাওয়ার, দেখ শাকিবের পাওয়ার’, আপনার পাওয়ারটা কী?

শা.খা.: বলা যাবে না। ভেরি সিক্রেট! ভেরি ভেরি সিক্রেট!
র.আ.: নায়িকার ‘বাঁচাও’ চিৎকার নায়ক কত দূর পর্যন্ত শুনতে পায়?
শা.খা.: বহুদূর! সাত সমুদ্র, তেরো নদী দূরে থাকলেও শুনতে পায়। নায়কদের কান খুব পরিষ্কার।
র.আ.: কে বেশি সুবিধা পায়, নায়ক না ভিলেন?
শা.খা.: স্বাভাবিকভাবেই নায়ক। ভিলেন তো কেবল নায়িকার হাতটা ধরারই সুযোগ পায়। হাত ধরতে না-ধরতেই আবার ‘বাঁচাও, বাঁচাও! সেভ মি!’ চিৎকার। ভিলেনের আগমন হতে না হতে নায়কের আগমন। ফলে ভিলেনের দৌড় ওই হাত ধরা পর্যন্তই। ভিলেনরা বড় হতভাগা।
র.আ.: হঠাৎ দেখলেন উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ আপনার দিকে দৌড়ে আসছেন। কী করবেন?
শা.খা.: দৌড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফিফা তাঁর দাঁতের এমন ট্রিটমেন্ট করবে যে কাউকে কামড়ানো তো দূরের কথা, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াই করতে পারবে না।